নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান কর্তৃক রূপগঞ্জের পশি মৌজার কৃষকদের ফসলি জমিসহ অবৈধভাবে জোরপূর্বক সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
২মে রবিবার পূর্বাচল উপশহরের জলসিঁড়ি গোলচত্বরে ভুক্তভোগী কৃষক-কৃষাণীরা এ মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কৃষক শফিউল্লাহ, শাহ্জাহান, নাছির, আব্দুস সুবহান, রেজাউল করিম, কৃষাণী জিন্নাত আরা, লাকি আক্তার, রেহেনা বেগম প্রমুখ ।
সভায় বক্তারা বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলার পশি মৌজার কৃষকদের ১ একর ৪৭ শতাংশ ফসলি জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করছেন। প্রতিবাদ করলেই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে কৃষকদের উপর হামলা করা হচ্ছে। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কৃষকদের বিরূদ্ধে মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। রূপগঞ্জ ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের নাসরিন সুলতানার ১৮ শতাংশ, আমজাদ হোসেনের ৩২ শতাংশ,আব্দুস সাত্তারের ৪ শতাংশ, শফিউল্লাহর ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, শাহজাহানের ১৮ শতাংশ, কামাল হোসেনের ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ , নজরুল ইসলামের ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, আমিনুল ইসলাম মজিদের ৩০ শতাংশ, শিরিন সুলতানার ৮ শতাংশ, গোলাম সারোয়ারের ৭ শতাংশ, ইউছুফ আহমেদের ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিজলী বেগমের ৭ শতাংশ জমি না কিনেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কৃষকদের ফসলি জমি না কিনে সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা আবেদন করেছেন। কিন্তু কোন ফল হচ্ছে না। নির্মাণকারীর নিয়োজিত স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কৃষকদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে। হামলা মামলা ও প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে কৃষকদের জিম্মি করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
গোয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক শফিউল্লাহ বলেন, আমাদের জমি ক্রয় না করেই আমাদের কৃষি জমিতে সীমানাপ্রচিীর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই হামলা, মামলা ও পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছে। আবৈধভাবে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর বন্ধ করা না হলে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সিমানাপ্রাচীর নির্মাণকারী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমিতেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে কিছু জমি এখনো কেনা হয়নি। ক্রয়ের জন্য চেষ্টা চলছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষকদের জমি না কিনেই সীমানপ্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।