আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছাত্রলীগ সেক্রেটারীর মোটরসাইকেল পুড়াল ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাদিম হোসেন অপুর উপর হামলা ও তার মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা। বুধবার ( ২০ জানুয়ারি) কায়েতপাড়ার পশ্চিমগাও কেওঢালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ সেক্রেটারীর উপর হামলা ও মটর সাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়ানো হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ জানান, ভূমিদস্যু ও তাদের আশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসী জেমিন ও তুষারের নেতৃত্বে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাদিম হোসেন অপুর মটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এসময় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা বোমা ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানান গেছে , নাদীম হাসান অপু ড্রেজার দিয়ে এলাকার অন্যের জমিতে বালু ভরাটের ব্যবসা করে। মারুফের মালিকানাধীন রূপালী পেপার মিলের নামে ক্রয় করা জমিতে গতকাল সে বালু ভরাটের কাজ করে। বিবাদী ইছাখালীর সামছুল মিয়ার ছেলে তুষার, চনপাড়ার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে জেমিন, আবু সালেক এর ছেলে রাসেল, ইছাখালীর রুবেল, সাদ্দাম, শরীফ, নগর পাড়ার শওকত আলী ইমন, চনপাড়ার আবু বক্কার (পিতা মৃত খালেক),পাড়াগাঁওয়ের ফেরদৌস, বরুনার সাকিব, ইছাখালীর ইমন
তার উপর হামলা করে। বিবাদীরা নাদিম হাসান অপুর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে আসছে। চাঁদা না পেলে নাদিমকে শান্তি মতো ব্যবসা করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। গতকাল দুপুরে কেওঢালায় রূপালী পেপার মিলের নামে ক্রয় করা জমিতে প্রবেশ করে তারা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে ছাত্রলীগ নেতা নাদিম হাসান অপু অস্বীকার করে। এর পর উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। নাদিমকে তার লেবার রুহুল আমিন ,অপু ,সোহেল, বাদশা বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বিবাদী সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারপিট করে। হামলার এক পর্যায়ে জেমিন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে নাদিমের মাথায় আঘাত করলে তা বাদশা ফিরিয়ে দেয়। বাদশার হাত ভেঙ্গে যায়। ফেরদৌসের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে রুহুল আমিনের মাথায় কোপ দেয়। এতে সে আহত হয়। শওকত আলী ইমন নাদীম হাসান অপুর শার্টের পকেটে থাকা ৭৫ হাজার ৩ শত ৪০ টাকা নিয়ে যায়। আহতদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদী রাসেল ও রুবেল তার জিক্সার মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বিবাদী শরীফ ,শাকিব, সাদ্দাম, আবু বক্কর , রুবেল ঘটনাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তুষার ও শরীফের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

জানতে চাইলে রূপগঞ্জ উপজেলার এক ছাত্রলীগ নেতা সংবাদচর্চাকে বলেন, থানায় অভিযোগ দিতে যাচ্ছি।
এব্যাপার রূপগঞ্জ থানার ওসি মহসিনুল কাদের সংবাদচর্চাকে বলেন, মটর সাইকেল পুড়ানোর খবর শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রূপগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।