বিশেষ প্রতিবেদক;
ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে হঠাৎ করেই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির বিষেদাগারে নেমেছে কতিপয় ছাত্রনেতা। সক্রিয়তার দিক থেকে ঘায়েল করতে না পেরে এবার বেঁছে নিয়েছে আত্মীয় স্বজন কে কি করেন সেই ইতিহাস। তবে এতে মোটেই ভড়কে যাননি রনি। বরং কোনরকম লুকোচুরি না করেই রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্যক্তি স্বার্থে দলের সক্রিয় কাউকে খাটো করার মানসিকতা দল ও দেশের জন্য ক্ষতিকর।
দৈনিক সংবাদচর্চার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আমার পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক নয়, আমি রূপগঞ্জের ছেলে, আমার মূল শেকড় সেখানেই। আর রূপগঞ্জ বিএনপির শক্তিশালী ঘাটি হিসেবে সবাই জানে। আমি মাসদাইর এলাকায় আমার মামার বাড়িতে থাকিনা। এখানে আমাদের ১টি বাড়ি ও ১টি জমি রয়েছে। সুতরাং কোনভাবেই মামার পরিবারের সাথে আমাকে মেলানো সম্ভব না।
মাসদাইরের স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রনির নানা মিছির আলী প্রধান ও তার ছেলে আবেদ আলী প্রধান এককালে মেম্বার ও পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান ছিলেন। তারাও ছিলেন বিএনপি সমর্থক। পুরো পরিবারে কেবল রিয়াদ প্রধান আর রাফেল প্রধান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এসব বিষয় বরাবরই লুকোচুরি না করে স্বীকার করে আসছেন মশিউর রনি। অথচ সেই বিষয়কে ঘোলাটে করে কেউ কেউ ফায়দা লুটতে চায়।
রনির বাবা মোস্তফা কামাল জানান, আমি বিলুপ্ত জেলা বিএনপির সদস্য। অতীতে জেলা বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। সাবেক স্বরাস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর আমলে আমি রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলাম। আমার ছোট ভাই লালমনিরহাট স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। আমার চাচাতো ভাই ফজলুল হক মিলন কেন্দ্রীয় নেতা। এর পরেও কিভাবে রনিকে ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাভোগী বলে আমার বুঝে আসেনা। যদি সুবিধাবাদীই হতো তাহলে কি আমরা বিএনপি করতাম এই সময়ে? চোখের সামনে জলজ্যান্ত নির্যাতিত হতে দেখেও দিনের পর দিন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে তারা।
তিনি আরও বলেন, এক ঘরে দুই দল করে এমন উদাহরণ বাংলাদেশে অহরহ। অথচ রনির নিজ পরিবারে কেউ ভিন্ন দল করে না। তার ২ মামাতো ভাই কেবল জড়িত। সেটাকে ইস্যু বানানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। রনি যদি লুকোচুরি করতো তাহলেও একটি কথা ছিল। কিন্তু সে তো স্বীকার করেই রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে রনির দুঃসময়ে কারা পাশে ছিল তা সবাই জানে। এখন রনির সাফল্যে হিংসাবশত যারা এসব অপপ্রচার করে তারা বিএনপির কেউ নয়। এখন কাদাছোড়াছুড়ির সময় না। এই নারায়ণগঞ্জের সবাই জানে কে বিএনপি করে। রনি কারও থেকে চাঁদা কেন নিবে? তার রাজনীতির জন্য আজীবন সে কেবল দিয়ে গেছে। এ ধরনের মিথ্যাচার করে সমূহ বদনাম করা যায় কিন্তু অনৈতিক স্বার্থ হাসিল হবে না।
রনি অনুগতরা বলছে, রনি সক্রিয় বলেই তাকে অনেক মামলার আসামী হতে হয়েছে। গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তাদের মতে, যারা নিষ্ক্রিয় তারাই সক্রিয় নেতাদের পেছনে লেগে থাকে।