নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সিদ্ধিরগঞ্জ ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার এস এ রোড রেল লাইন বালুর মাঠ কোরবানির পশুর হাট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলের নিজস্ব জমিতে অবৈধভাবে এ পশুর হাট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ওই কোরবানি পশুর হাট বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই সিটি এলাকার অস্থায়ী সাতটি পশুর হাটের দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এসও রোড এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাটটির ইজারা পান সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডলের সহযোগি আতাউর রহমান।
এদিকে ওই হাট বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ২০ জুলাই রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠি পাঠানো হয় সিটি কর্পোরেশন বরবার। অনুলিপি দেয়া হয় রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
চিঠিতে রেলওয়ের বিভাগ উল্লেখ করেন, ১২ জুলাই তারিখে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সাতটি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ড এসও রোড বটতলা চৌরাস্তা বালুর মাঠ ভূমির মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী রেলভূমিতে গরুর হাট বসাতে হলে অনুমতি নেওয়ার বিধান আছে। এক্ষেত্রে রেলওয়ের কোন অনুমতি গ্রহণ করা হয়নি। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের মধ্যে রেলভূমিতে পশুর হাট বসলে বহু লোকের জনসমাগম হবে। এতে করে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে বাড়ার সম্ভাবনা আছে। পশুর হাটে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ জন চলাচল করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী পশুর হাট বসার জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনুমতি প্রদানের কোন সুযোগ নেই। রেলভূমিতে পশুর হাট বন্ধ করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রতি অনুরেধ জানায় রেলওয়ে।
স্থানীয়বাসিন্দা জানান, অত্যন্ত জনবহুল একটি ছোট জায়গায় এমন একটি পশুর হাট কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। নতুন করে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করেন এলাকাবাসি। যার ফলে করোনার এই সময়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।