আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডাকাতের ভয়ে বেপারী

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

অন্য জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাটে পশু নিয়ে আসে বেপারীরা। শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদী হয়ে গরুর ট্রলার প্রবেশ করে স্থানীয় হাটে। রাতে এই দুই নদীতেই ভয়ে থাকে তারা। নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নদীতে টহল দিলেও ডাকাতির ভয় কাটেনা বেপারীদের।

জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, ঈশরদী, সৈয়দপুর, উল্লাপাড়া, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার গরু আসে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ও সদর উপজেলার অস্থায়ী পশুর হাট গুলোতে। বেপারীরা ট্রলারে করে নদী দিয়ে হাটে গরু নিয়ে যায়। পথে নানা সমস্যার পাশাপাশি গরু ডাকাত আতংকে থাকে তারা।

শহরের হাটে গরু নিয়ে আসা একাধিক বেপারী জানান, রাতে নদী দিয়ে গরু আনার সময় নদীতে অবস্থানরত গরু ডাকাতদের ভয়ে থাকে হয়। তারা যে কোন সময় ট্রলারে হামলা করে । ট্রলারে উঠে সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। জোর করে ট্রলার থেকে গরু নামিয়ে তাদের ট্রলারে করে নিয়ে যায়। নদীতে পুলিশ থাকলেও রাতে অনেক কম দেখা যায়। এজন্য ওরা সহজেই নদীতে গরু ছিনতাই করেতে পারে। রাতে পুলিশের টহল আরও বাড়ানো প্রযোজন বলে জানান ব্যাপারীরা।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নদীতে নৌ পুলিশের টহল ও নজরধারী রয়েছে পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা হাট গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ব্যাপারী ও গরু ক্রেতাদের। এছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনরীর সদস্যরাও নজরদারি করবেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের নদী পথে কোরবানির পশুবাহী ট্রলার এবং গরুর বেপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নৌ-টহল শুরু করে র‌্যাব-১১। প্রতিবছর তাদের এই টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে র‌্যাব। তবে তাদের টহল আরও বাড়ানো হলে নৌ পদ নিরাপদ হবে বলে মনে করেন গরুর ক্রেতা ও বিক্রেতারা।