সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
একেবারে নতুন রোগ হওয়ায় করোনা ভাইরাসের কোন চিকিৎসা নেই বলে শঙ্কিত মানুষ। তবে সচেতন মহল মনে করছেন, করোনা রোধে ওষুধ রয়েছে আশপাশেই। এমনকি ধর্মগ্রন্থেও এ নিয়ে বলা আছে। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে চিকিৎসকরা জোর দিয়েছেন সচেতনতার উপর। আর সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে হবে তাহলে করোনা কেন কোন ভাইরাসই ক্ষতি করতে পারবে না।
প্রকৃত মানুষ সমন্ধে ব্যাখ্যায় তারা বলেছেন, ঘুম থেকে জেগে ফের ঘুমানোর আগ পর্যন্ত একজন মানুষ কারও কোন ক্ষতি করার চিন্তা করবে না। যার দ্বারা অপর কোন মানুষ, অন্য প্রাণী এমনকি প্রকৃতির কোন ক্ষতি হবে না তিনিই প্রকৃত মানুষ। সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, লেখাপড়া জানা একজন মানুষ যখন রাস্তায় থুতু ফেলে তখন প্রশ্ন উঠে, সে কতটা ভদ্রলোক। তার সাথে অশিক্ষিত একজন মানুষের তফাৎ কিন্ত আর রইলো না।
ঠিক একইভাবে নদী দখল, অযথা গাছ কাটা, অন্যের জমি দখল করে কখনও মানুষ হওয়া যায় না আবার ধার্মিক সাজলেও প্রকৃত ধার্মিক হওয়া যায় না। যে সড়ক দিয়ে অসংখ্য মানুষ চলাচল করে সে সড়কে দখলবাজির পেছনে যারা শেল্টার দেয় তাদেরকেও মানুষ বলা যায় কী-না এমন প্রশ্ন রয়েই গেছে। হাঁটার ফুটপাত যারা দখল করে তারা যেমন মন্দ কাজ করছে তেমনি তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে যারা ইন্ধন দিচ্ছে তারাও আর যাই হউক ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে জাহির করতে পারবে না।একজন প্রবীণ রাজনীতিক জানান, সমাজে এখন জাহির করার রীতি চালু হয়েছে। রাজনীতি, সমাজ সেবা, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সাংবাদিকতা কোথাও সস্তি নেই। কে কাকে ল্যাং মেরে উপরে উঠবে এমনটা চিন্তা এখন এক শ্রেনীর মানুষ রূপী অমানুষদের।
তিনি বলেন, একজন রাজনীতিক চান তার চেয়ে আর বড় কোন নেতা যেন তার কমিটিতে না থাকে। তেমনি সমাজ সেবার নামেও সস্তা প্রচারের পসরা খুব বেড়েছে। সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মতো শুভ্র কাজেও এখন ডিপজল মার্কাদের আবির্ভাব হয়েছে। সাংবাদিকতার নামে অনেকেই নিজের অপকর্ম ঢাকতে ব্যস্ত। নিজের লোক হলে সাত খুন মাফ এর মতো ঘটনা এ নারায়ণগঞ্জেই রয়েছে। মাদক আর জুয়ার আখড়া থেকে চাঁদা নেয়া, মাদক সেবনসহ অনেক অপকর্মেই জড়িত রয়েছে কতিপয় সাংবাদিক। আবার তাদের শেল্টার দেয়ার অভিযোগও রয়েছে ভদ্রবেশী কিছু অমানুষের বিরুদ্ধে। ওই প্রবীণ রাজনীতিকের মতে, মানুষ শুদ্ধ হলে সব কিছু সুন্দর হবে।
সচেতন মহলের মতে, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। করোনা ভাইরাস কেন কোন ভাইরাসই মানুষকে কাবু করতে পারবে না। তবে মানুষ কে অবশ্যই মানুষ হতে হবে। আর মানুষ যখন মানুষ থাকবে তখন চারদিকে সব কিছু সুন্দর হয়ে উঠবে। সুন্দর চোখে তাকালেই দেখতে পারবে মানুষের জন্য আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
পবিত্র আল কোরআন এর সূরা আল ইমরানে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “নিশ্চয়ই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিন-রাত্রির আবর্তনে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। তারা দাঁড়িয়ে বসে বা শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে। তারা আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি রহস্য নিয়ে ধ্যানে নিমগ্ন হয় এবং বলে ” হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নাই”।
অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা অনর্থক কিছুই সৃষ্টি করেন নাই। দেখা গেছে, কয়েকটি ঋতুতে যে জায়গায় যে জিনিস পাওয়া যায়, সার্বিকভাবে সেখানকার মানুষের ভালোর জন্যই সেসব জিনিসের ফলন হয়।
আবু কায়সার পিকু নামে একজন তার ফেসবুকের দেয়ালে লিখেছেন, “যেসময়টাতে সজনে ডাটা পাওয়া যায়, সেসময়টায়েই চিকেন-পক্সের পাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। এই সজনে ডাটার মধ্যো আছে চিকেন-পক্সের প্রতিষেধক। অস্ট্রেলিয়ার মধু আমাদের সুস্থতার জন্য শরীরে যতটা না প্রভাব ফেলতে পারে , তার থেকে শতগুণে উপকার করে আমাদের দেশি মধু। আমি পৃথিবীর যে অংশে বসবাস করি, আল্লাহ তা’আলা সেই অংশেই আমার উপযোগী ফসল দিয়েছেন। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল করে দেয়ার জন্য একমাত্র দায়ী ভেজাল খাবার। ভেজালের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিকর ভোজ্যতেল।
বাপদাদার চোদ্দগুষ্টির ব্যবহার করা সরিষার তেল আমারা বিদেশিদের মিথ্যা প্রচারে কি অবলীলায় সরিয়ে দিয়ে সয়াবিন তেলের তকমা মারা পামওয়েল খেয়ে যাচ্ছি। এই পাম ওয়েল একটা বিষাক্ত ভোজ্যতেল যা ইউরোপ আমেরিকায় নিষিদ্ধ। সরিষার তেলে আছে ঔষধি গুণাবলী। আছে ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬। ফ্যাটি এসিড ভিটামিন ই ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই সরিষার তেল শরীরে জন্য যথেষ্ট উপকারী যা বলার অপেক্ষা রাখে না। পেটে কোন রকম গ্যাস সৃষ্টি করে না। হজমে সাহায্য করে। ক্ষুধা বাড়ায়।”
সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, অনিয়ম থেকে মানুষ যখন দূরে সরে আসবে তখন পৃথিবী হবে শান্তিময়। ঘুষ-দূর্নীতি, সুদ, পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে শান্তি আশা করা বোকামী। পরিবেশ নষ্ট করায় গাছপালা রোপন করেও মানুষ পুরো সুবিধা ভোগ করতে পারে না। খাদ্যে যারা ভেজার করছেন তারাও ভেজাল খাচ্ছেন। এতে করে মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যদি মানুষ ভেজালমুক্ত খাবার খেয়ে বড় হয় তবে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, মানবসৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য করোনার মতো সংক্রমণ ছড়ায়। তিনি বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এ ভাইরাস ঝেকে বসে। আবার হঠাৎ করে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোও সম্ভব নয়। এ হলো নিয়মিত কাজ। তবে সবাইকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তিনি বলেন, শ্বাস কষ্টজনিত কারণ বড় সমস্যা। মানুষ শ্বাস কষ্টের অবস্থান নিরুপণ করতে পারে না। এ জন্য মেশিনের প্রয়োজন হয়। কাছে যখনই সামান্য শ্বাস কষ্টের সমস্যা হবে তখনই হাসপাতালে যেতে হবে। এ চিকিৎসকের মতে, মহান আল্লাহ সব রোগের প্রতিষেধক দিয়েছেন তবে তা বুঝতে ও জানতে জ্ঞানের প্রয়োজন। গবেষণার প্রয়োজন।