বিশেষ প্রতিবেদক, সংবাদচর্চা
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার থেকে নেয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। মানুষের মাঝে ভাইরাসটি যেনো ছড়িয়ে না পারে সেই লক্ষ্যে উপর মহল থেকে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখনও মানুষের মাঝেই সচেতনতা আসেনি। যার ন্যয় বিভিন্ন বাজারগুলোতে দেখা যায় অসচেতন মানুষের বহিঃপ্রকাশ। যারা বিক্রি করছে তাদের মুখেই মাস্ক নেই আবার যারা কিনছে তাদের মুখেও দেখা মেলেনা মাস্কের।
গতকাল সরেজমিনে ফতুল্লার মাসদাইর বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে মানুষের অসচতেনতা চিত্র। দেখা যায়, মাছ বিক্রেতারা মাস্ক না পরিধান করেই মাছ বিক্রি করছেন আবার দু’একজনের মুখে থাকলেও তা তারা ঝুলিয়ে রাখেন থুতনিতে।
লাখ ছাড়িয়েছে করোনার সংক্রমণ। তারপরেও কেনো সচেতনতা নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে মাছ বিক্রেতারা জানান, পরিবারের চিন্তাতে তাদের মাস্কের কথা মনে থাকে না। তারা বলেন, মাছ তো পচনশীল। বিক্রি না হলে খেয়ে ফেলা ছাড়া কিংবা কম দামে বিক্রি করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বৃষ্টির কারনে মাসদাইরের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমেছে। বাজারও তলিয়ে গেছে পানিতে। তাই ক্রেতা নেই। চিন্তায় মাস্কের কথা মাথায় থাকে না।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারংবার মানুষকে বাইরে থাকাবস্থায় মাস্ক পরিধান করতে বলা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা। অথচ সাধারন মানুষ সামান্য মাস্কটাই মুখে রাখতে অক্ষম। এমতাবস্থায় কোন দিকে যাচ্ছে জেলার করোনা পরিস্থিতি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, যেহুতু এখনও করোনা ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন তেমনভাবে বাজারে আসেনি। সেহুতু সচেতনতাই একমাত্র বেচেঁ থাকার পথ। এই সামান্য কাজ যদি মানুষ করতে না পারে তাহলে শুধু শুধু সরকারের উপর আঙুল তুলে কোন লাভ নেই। আগে মানুষকে ঠিক হতে হবে তারপর সবকিছু।
এসএমআর