সৈয়দ মোহাম্মদ রিফাত
এমনিতেই করোনা সংক্রমণের ভয়ে বাচ্চাদের ঘর থেকে বের হতে দেয় না অভিভাবকরা। তার উপর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় গোটা এলাকা। শুধু পাড়া-মহল্লাই নয় বরং নিজ বাসা-বাড়ির মধ্যেও ঢুকে পরে পানি। এতে দিনভর গৃহবন্দী হয়ে সময় কাটাতে হয় শিশুদের।
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের দূর্ভোগের চিত্র। গতকাল টানা বর্ষণে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, ২ নং রেল গেট, ফতুল্লার মাসদাইর, ইসদাইর, সস্তাপুর সহ বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে পানিতে। জলাবদ্ধতা শুধু সড়কেই নয় মানুষের বাসা বাড়ির মধ্যেও হতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার গৃহবন্দী মানুষের সাথে কথা হয় সংবাদচর্চার এ প্রতিবেদকের। সাধারণ মানুষ জানায়, ডিএনডি অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটি এলাকাই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় নাজেহাল অবস্থা হয় মানুষের। এ সময়টাতে ঠিকমতো জীবনযাপন করায় যেনো দায়। পানির জন্য রাস্তায় তো বের হওয়ায় যায় না তার উপর বাসা থেকেও বের হওয়া যায় না। কারণ পানি শুধু রাস্তাতেই জমে থাকে না বরং বাসা বাড়ি এমনকি ঘরের মধ্যেও ঢুকে পরে।
অভিভাবকরা জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বাচ্চারা সারাদিন ঘরে থাকে। করোনা সংক্রমণের ভয়ে শিশুদের বাসা থেকে বের হতে দিতেও ভয় করে। তার উপর টানা বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো এলাকা। বাসার মধ্যেও ঘন্টার পর ঘন্টা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আছে। শিশুরা যে বাসার মধ্যে একটু খেলাধূলা করবে তারও উপায় নেই। কি করে খেলবে? বাসার মধ্যেই তো হাটুঁ পানি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডিএনডি মেগা প্রকল্পের উন্নয়ণের জন্য সরকার এতো বড় বাজেট দেয়া সত্বেও কেনো কোন উন্নয়ণ হচ্ছে না। বছরের পর বছর মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিন পার করছে। প্রতিনিয়তই স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, জাতীয় পত্রিকা সহ টিভি চ্যানেল গুলোতেও মানুষের দূর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে অবগত। তাহলে কেনো মানুষ দূর্ভোগ পোহাবে। ভোট দিয়ে পানিতে তলিয়ে থাকার জন্যই কি তাহলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়।
সচেতন মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জোর দিতে হবে। আর কতোকাল মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকবে। দেশের শীর্ষ ধনী জেলা হওয়া সত্বেও যদি নারায়ণগঞ্জের এ অবস্থা হয় তাহলে মানুষ মাথা উচুঁ করে নিজ জেলা নিয়ে গর্ব করবে কিভাবে? তাই অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিৎ মানুষের দূর্ভোগের বিষয়টি মাথায় নিয়ে সমস্যার সমাধান করা।
এসএমআর