আজ বুধবার, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রতিদিনই জ্যাম লাগে

বিশেষ প্রতিবেদক

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। বিগত দিনগুলোতে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হলেও এখন দিনভর যানজট লেগে থাকে এই সড়কে। যার ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখো মানুষকে।
সরেজমিনে ঘন্টার পর ঘন্ট এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন পরিবহনকে। শহরের প্রবেশ মুখে দুর্ভোগ পোহাতে হয় মানুষের। বিশেষ করে অফিস টাইমে যানজটের মাত্রা বেড়ে নাকাল দশা হয়। যানজটের যন্ত্রণা থেকে বাদ যায় না স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও।
মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর এলাকার ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়ক খানাখন্দ আর জলাবদ্ধতা থাকার কারনে ধীর গতিতে চলে যানবাহন। আর সেই চাপ এসে পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক। চাষাঢ়া থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করা মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। মুক্তারপুর ব্রিজ থেকে পঞ্চবটি আসার পথে ভাঙাচোরা ওই সড়কে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। ফলে এ সড়ক দিয়ে মুন্সীগঞ্জ শহর থেকে পঞ্চবটি হয়ে ঢাকা যেতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলার কারণে সৃষ্টি হয় যানজট। এটা পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে লাখ লাখ মানুষ। এখানে থাকা নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ ও মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা ঠিক মতো কলেজে যেতে পারে না। ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরীর পণ্যভর্তি গাড়িগুলো যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে ধারাবাহিক যানজট থাকায় ব্যপক লোকসানের স্বীকার হচ্ছে শিল্প মালিকরা।
দীর্ঘসময় এক জায়গায় প্রাইভেটকার নিয়ে দাড়িয়ে থাকা হামিদ হক জানান, এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বসে আছেন তিনি। কিন্তু যানজট কমেনি। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয় তার। প্রতিদিনের সৃষ্ট যানজটে সময়মতো মালিককে নিয়ে অফিসে পৌছে দিতে পারি না।
ট্রাকচালক ইকবাল বলেন, এই রাস্তার যানজটের ঘটনা অনেক পুরানো। তবে এখন মাত্রা বেড়ে গেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকতে হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে সচেতন মহল বলছেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রবেশ মুখে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি খুবই সরু। যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এই সড়ক দিয়ে বিসিক শিল্প নগরীর সব গাড়ি চলাচল করে। কোটি কোটি টাকার পন্য নিয়ে ড্রাইভাররা যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিৎ বিষয়টিতে নজর দেয়া। মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে সাংসদ শামীম ওসমানের সহয়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন নগরীর সচেতন মহলের লোকজন।