বিশেষ প্রতিবেদক
পরিকল্পিত ড্রেনেজ নেই, নেই পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় ইসদাইর ও গাবতলী এলাকা। আর সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয় ওই এলাকায় বসবাসরত হাজারো মানুষের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরেও সমস্যার সমাধান মেলেনি।
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ফতুল্লার ইসদাইর ও গাবতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তায় জমে থাকা হাটুঁ পানির চিত্র। বাধ্য হয়ে নোংরা পানির ওপর দিয়েই চলাচল করছে এলাকায় বসবাসরত মানুষ। জলাবদ্ধতার ফলে মাসের পর মাস ধরে এলাকাবাসী, পথচারী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা পড়ছে সীমাহীন দুর্ভোগে। ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি রাস্তায় জমে বিভিষিকাময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এলাকাবাসী রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও। বাসা থেকে রাস্তায় নামলেই ভোগান্তিতে পরছে তারা। রাস্তার পাশে নেই কোন ড্রেন, দীর্ঘদিনের এ জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
এলাকাবাসী জানায়, কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় এই সমস্যা চলমান। প্রতিবছর এই সময়ে অর্থ্যাৎ বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় রাস্তায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনকি সাংসদ শামীম ওসমানও এই সমস্যার কথা জানেন। তারপরেও সমস্যার সমাধান মেলেনি।
পানি মাড়িয়ে চলাচল করা বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, এই ময়লা পানিতে হাটতে হাটতে পায়ে ঘাঁ হয়ে গেছে। অনেক দিনের পানি জমার কারনে রাস্তাটি পিচ্ছিল হয়ে গেছে। যার কারণে এই রাস্তার পানিতে হাটার সময় পিছলে পরে জামা কাপড় ভিজে নোংরা হয়ে যায়, পরে বাসায় গিয়ে ধুলেও পরিষ্কার হয় না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রাস্তাটি এক বছরের বেশি সময আগে আরসিসি ঢালাই করা হয়েছে। এর আগে রাস্তাটিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে বড় বড় গর্ত আর হাটুর সমান পানি ছিল। এ কারণে কেউ আসতো না এই রাস্তায়। কিন্তু এখন আরসিসি ঢালাইয়ের পরও কেবলমাত্র পাশে কোন ড্রেন না থাকায় বাসা বাড়ির টয়লেটের পানিও রাস্তায় এসে জমা হয়। দুর্ঘন্ধে এলাকায় থাকা দুষ্কর। কোন যানবাহনও আসতে চায় না এ রাস্তায়। ভুলে কেউ আসলেও ভাড়া গুনতে হয় কয়েকগুন। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে অসংখ্যবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি।
এসএমআর