নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুুবুর রহমান মাসুম বলেছেন, এই করোনা পরিস্থিতে আমাদের সরকারি বেসরকারি সকলে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের ৩শ, শয্যা হাসপাতালে যে আইসিউ হওয়ার কথা ছিল তা এখনো কেন হচ্ছে না। আমি দুঃখের সাথে বলছি আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী কেন এত বিড়ম্বনার শিকার হই। খানপুর হাসপাতালের টেষ্টে সুবিধাভোগিদের দৌরাত্ব চলছে। অপর দিকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের রোগিদের পাঠানো হয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব থেকে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, কেউ যদি হাসপাতালে রুমের ভিতর অফিস বানিয়ে কাজ করেন তাহলে এটা দুঃখ জনক। আমাদের এখানে একটাই করোনা হাসপাতাল। করোনা টেষ্ট করাতে গিয়ে মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়।
জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, করোনা টেষ্টে বেশি সময় লাগার কথা নয়। এটা মাত্র ৫ মিনিটে হয়ে যেতে পারে। আপনার নেতৃত্বে ৩ শ’ শয্যা হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ড এর সাথে মিলে মনিটরিং টিম যদি সার্বক্ষনিক নজর দারি করে তাহলে ভালো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে স্লো। নারায়ণগঞ্জে টেষ্টের সুযোগ বাড়াতে হবে। খানপুরে করোনা হাসপাতালের আইসিইউ সচল করার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে যারা জুয়া ও মাদকের নায়ক তারা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এই সকল আসামিরা যদি জামিন পেয়ে যায় তারা আবার বাহিরে এসে জুয়া খেলবে মাদক বিক্রি করবে আদালতকে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
মাসুম বলেন, এ বিষয় আমাদের নারায়ণগঞ্জের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়গঞ্জে ল্যাবটরি স্থাপন করে আমাদের অনেক উপকার করেছে তার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে তিনি যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে বলে আমাদের আইসিউটা সচল করে দিতেন তাহলে খুব উপকৃত হতাম। তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক বলেন, খানপুরে করোনা হাসপাতালে তার ছেলে পাপ্পা গাজীকে বলে একটি ভেন্টিলেটর দেয়ার ঘোষনা দেন। এজন্য মন্ত্রীর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিন্দ্র কুমার মন্ডল।