নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগী থাকায় বিভিন্ন জোন ভাগ করা হচ্ছে। রেড জোন, ইয়োলো জোন ও গ্রিন জোন প্রস্তুতের জন্য কাজ করছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের হিসাব অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক জোন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ।এ প্রসঙ্গে ইমতিয়াজ আহমেদ। আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজিপুর এই তিনটি অঞ্চলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হিসাব অনুযায়ী জোন ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনটি অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে। রেড জোনের বাসিন্দারা এলাকার বাইরে কোন ভাবেই যেতে পারবেন না। এ জোনে প্রবেশ ও বের হবার ক্ষেত্রে থাকবে সর্বোচ্চ কঠোরতা থাকবে।সিভিল সার্জন আরও জানান, ইয়োলো জোন হবে যেখানে অপেক্ষাকৃত আক্রান্ত একেবারেই কম। এখানে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এলাকার বাসিন্দাদের। এছাড়া আক্রান্ত হয়নি এমন এলাকাকে গ্রিন জোন ঘোষণা করা হবে। এখানে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকবেনা।
ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, “অন্য জেলাগুলোতে আক্রান্ত কম, কোনো কোনো জেলায় শতাধিকের বেশি নয়। তাই তারা দ্রুত জোন প্রস্তুত করছে। আমাদের এখানে সাড়ে ৩ হাজারের অধিক আক্রান্ত। আমরা তাই আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যেই এ জোন প্রস্তুত করতে পারবো। রেড জোন সুস্থ হলে সেটি ইয়োলো জোন পরে গ্রিন জোনে পরিবর্তিত হতে পারে আবার গ্রিন জোনও রেড জোন হতে পারে। এটি নির্ধারিত নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্তদের হিসেবে পরিবর্তিত হবে।”
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন কোন মৃত্যুর খবর নেই। জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮৫। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াঁলো তিন হাজার ৩শ’ ১৭ জন।তাদের দেয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘন্টার (৪জুন সকাল ৮টা হতে ৫জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত)-এ জেলায় নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছে ২৬জন, মোট আক্রান্ত ৩৩১৭জন। নতুন কোন সুস্থের খবর নেই, মোট সুস্থ ৮৪২জন। এবং ৩, ৪ ও ৫ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে মোট মৃত্যু ৮৫জন। এনিয়ে ৭২ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জে কোন মৃত্যু নেই। আরও জানা গেছে, নাসিক এলাকায় ১২৭১, রূপগঞ্জ উপজেলায় ৪৩৪, সদর উপজেলায়(ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা) ৯৬৮ ও সোনারগাঁও উপজেলায় ২৮৩জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আড়াইহাজার উপজেলায় ৩৭, বন্দর উপজেলায় ১৭, সিটি করপোরেশন(এনসিসি) এলাকায় ৪৮৮, রূপগঞ্জ উপজেলায় ৮, সদর উপজেলায়(ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা) ২৬৫ ও সোনারগাঁও উপজেলায় ২৭ জন। পুরো জেলায় ৮৪২জন।