নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেখানে কাবা শরীফে কারফিউ দেয়া হয়েছে, সেখানে বলব, মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকেন, আল্লাহ নিশ্চয় শুনবেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষার যে নির্দেশনা, সবাই দয়া করে সেটা মেনে চলবেন। তাহলে কেউ করোনা ঝুঁকিতে পড়বেন না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব নির্দেশনা মেনে চলবেন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে এসব কথা বলেন সংসদ নেতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনও বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানে আমরা ভালো আছি। আমরা বার বার ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আসলে মানুষ কেন যেন বেশি সাহসী হয়ে গেছে। অনেকে মানতেই চায় না। আমি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এ রকম একটা ঝড় উঠবে তা কল্পনার অতীত ছিল। আসলে ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগের কোনো পূর্বের অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে গাইড লাইন অনুসরণ করে আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা থেকে আমরা কতগুলো পদক্ষেপ সঙ্গে সঙ্গে নিতে থাকি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিই। প্রত্যেকের যাতায়াত আমরা সীমিত করে দিই। আমরা বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর বন্ধ করে দিই। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে এমন সব জায়গায় আমরা বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, এ করোনা নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। অনেক চিন্তা হচ্ছে। অনেকেই বলছে শীত হলে বেশি হয়, গরম হলে কমে। আবার বলে গরম হলেও থাকবে। এর স্থায়িত্ব কী, অদ্ভুত একটা অবস্থা সারাবিশ্বে। কত শক্তিশালী দেশ, কত তাদের শক্তিশালী অস্ত্র। কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। একটা ভাইরাস যা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তার কারণে সারাবিশ্ব স্থবির। সারাবিশ্বের মানুষ ঘরেবন্দি। এ রকম অদ্ভুত পরিস্থিতি বোধ হয় আর কখনো হয়নি।