আজ শুক্রবার, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

করোনা ঝুঁকিতে চা-শরবতের দোকান

মনি ইসলাম:

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন দিক থেকেও সচেতন থাকলেও বর্তমানে অসচেতন রয়েছে চা ও শরবত ক্রেতা,ওবিক্রেতারা। চা ও শরবতের দোকানগুলোতে একই কাপে বা গ্লাসে পান করা হচ্ছে চা ও শরবত। যার ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগছে সাধারণ মানুষজন।

সরজমিনে দেখা যায়, কোনো চা বা শরবতের দোকানগুলোতে ব্যবহার করা হয় না ওয়ান টাইম গ্লাস বা কাপ। অল্প পরিমাণ ময়লা যুক্ত পানিতে বার বার ধোয়া হয় ব্যবহার করা সেই কাপ ও গ্লাস। কিছু কিছু দোকানে শুধুমাত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে ওয়ান টাইম গ্লাস। সেই গ্লাসগুলো বিক্রেতারা কোনো কাজেই ব্যবহার করছে না। অনেক পাড়া বা মহল্লায় মাইকিং করেও বলা হচ্ছে ওয়ান টাইম কাপ বা গ্লাস ছাড়া বিক্রতারা বিক্রি করতে পারবে না কোনো প্রকার চা ও শরবত। কিন্তু তারপর কোনো জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে না ওয়ান টাইম গ্লাস বা কাপ। ভুলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষগুলো তারা একই কাপে বা গ্লাসে ঠোঁট ছুয়ে একাধিক লোকে পান করছে চা শরবত।

চা পানকারী নিজাম উদ্দিন বলেন,আমরা যারা চান পান করি তারা অনেকটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছি। তাই চা পান না করে থাকতে আমাদের কষ্ট হয়। তবে চা বিক্রতারা যদি ১টাকা বাড়িয়ে ওয়ান টাইম গ্লাসে চা বিক্রি করে তাহলে আমরা কিছুটা স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে বেচেঁ যাবো।

অন্য দিকে শরবত পানকারী রফিক বলেন,প্রচন্ড গরমে পিপাসা মিটিয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনে শরবত। আমরা যারা পথচারী আছি বা যারা রাস্তা ঘাটে অনেক পরিশ্রম করে থাকি তারা হাতের কাছে শরবতের দোকান থেকে শরবত খেয়ে থাকি। সেই শরবত খেয়ে আমাদের শরীর ঠান্ডা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া অনেক দেশ রয়েছে সে দেশগুলোতে ওয়ান টাইম গ্লাস এর উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমাদের দেশের সরকারও যদি এই বিষয়টা জোরালো ভাবে দেখেন তাহলে সবাই ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহার করা শুরু করবে।

খানপুর হাসপাতাল সংলগ্নে চা বিক্রতা আবুল কাশেম বলেন, ওয়ান টাইম কাপে চা দিলে আমাদের খরচ বেশি হয়। তাই আমরা ওয়ান টাইম কাপ দেই না।

এবিষয়ে নারায়নগঞ্জ জেলা সির্ভিল সার্জেন ড.মো.ইমতিয়াজ বলেন, সাধারণ মানুষই আসলে সচেতন নয়। শুধু মাত্র করোনা ভাইরাস নয় এর পাশাপাশি অপরিষ্কার একই কাপে বা গ্লাসে একাধিক ব্যক্তি পানীয় পান করলে হতে পারে কলেরা,আমাশয়, ডায়রিয়া সহ আরও পানি বাহিত নানা রোগ।