আজ শনিবার, ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজাদ আছেন এক নম্বরে!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে নানাভাবে লবিং চলছে। এরই মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে কেউ কেউ। জেলার কতিপয় শিল্পপতি নেতা আগের মতোই নিজেদের পছন্দের লোককে শীর্ষ দুই পদে বসাতে চাইছেন। বিএনপির এ দুই পদ নিয়ে শহরের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারেরও আগ্রহ রয়েছে। সূত্র মতে, তাদের প্রথম পছন্দ হলেন আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্র। বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। দলের এক পক্ষের অভিযোগ, তাদের কমিটির পেছনে জেলার একাধিক শিল্পপতি নেতার হাত রয়েছে। একটি পক্ষের অভিযোগ, এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও তার অনুসারীদের বাদ দিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। তৈমূরপন্থিদের মতে, সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কারনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অবস্থান দুর্বল হয়। তাদের দাবি, তৈমূর যখন সভাপতি ছিলেন তখন এ জেলায় বিএনপির কার্যক্রমে গতি ছিলো। তৈমূরকে বাদ দেয়ার পর যে কমিটি গঠন করা হয় তারা সে গতি ধরে রাখতে পারেনি। এ নিয়ে প্রকাশ্যেও অনেক কথা বলাবলি হয়েছে।
তবে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, যোগ্য মনে করেই কেন্দ্র কমিটি দিয়েছিলো।
এর আগে ২০০৯ সালে তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বাধীন কমিটি নিয়েও কম কথা হয়নি। বিএনপির একটি অংশ তৈমূরের ললাটে স্বজনপ্রীতির চিহ্ন এঁকে দিয়েছিলো। তাদের মতে, তৈমূর পছন্দের লোকজনকে পদ দিয়েছে। এরমধ্যে পরিবারের সদস্য আর নিজের বলয়কে প্রাধন্য দিয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
দলীয় সূত্র জানায়, নতুন করে জেলা কমিটি গঠনে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কমিটিতে ফের তৈমূর সুযোগ পেতে পারেন আবার নাও পেতে পারেন। সূত্র জানায়, দলের মাঠ পর্যায়ের রিপোর্টে তৈমূরের অবস্থান ভালো। তবে শিল্পপতি নেতা ও কেন্দ্রের কতিপয় নেতা শেষ পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী কাজ করবেন না-কি অন্য কোন পন্থায় কমিটির শীর্ষ পদ দিবেন তা বুঝা যাবে আরও পরে। দলের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির কমিটি হলেও আওয়ামী লীগের একটি প্রভাবশালী মহল হস্তক্ষেপ করবেন। ওসমান পরিবারের দিকে ইঙ্গিত করে তারা বলেন, বিএনপিতে দুই ভাইয়ের প্রিয় যারা রয়েছেন তাদেরকে শীর্ষ পদে বসানোর একটা চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসেম শকু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম সেন্টু সহ একাধিক বিএনপির নেতার সাথে ওসমান পরিবারের সখ্য রয়েছে। যা দল ও গোটা নারায়ণগঞ্জে ওপেন সিক্রেট। দলীয় সূত্র বলছে, আজাদ বিশ্বাসকে বেশী বিশ্বাস করেন ওসমান পরিবার। তারা চাইছে তাকেই জেলা বিএনপির সভাপতি করতে।