কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিভিন্নস্থানে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এবং এর উপর পানি ওঠায় জেলার সঙ্গে সড়ক ও রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
৯ উপজেলার ৫৭ ইউনিয়নের প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি। বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৬০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। পানিতে ডুবে যাওয়ায় ৮৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ত্রাণ তৎপরতা সচল রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলার সরকারি ও বেসরকারি সকল বিভাগকে বন্যার্তদের পাশে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার বিভাগকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম বাঁধ সংস্কারের কর্ম-পরিকল্পনা ও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম সদরের খামার হলোখানা এলাকার অলিউর রহমানের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম (২৫) সাপের কামড়ে, পৌরসভার ভেলাকোপা এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে বাবু (দেড় বছর) পানিতে ডুবে, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের প্রাণকৃঞ্চ গ্রামের খাতক মামুদের ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫) মাছ মারতে গিয়ে পানিতে ডুবে এবং গোড়কমন্ডল গ্রামের মৃত কাচু মামুদের ছেলে হযরত আলী (৫৫) আকস্মিক ঘরে পানি ঢোকায় আতঙ্কে মারা যায়।
রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাদেকুল হক নুরু জানান, কালুয়ারচর ওয়াপদা বাঁধ রাতে ভেঙে যাওয়ার সময় রিফাত (১০) ও লোকমানের স্ত্রী (৩২) পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি।