আজ মঙ্গলবার, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

একেই বলে সিন্ডিকেট !

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সদর উপজেলার দু’টি হাটের ইজারায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলীর সিন্ডিকেটের কাছে পাত্তা পাননি অন্য কেউ। তারা দুইজনই সাংসদ শামীম ওসমানের একান্ত অনুগত হওয়ায় অন্য কেউ ওই দু’টি হাট নিতে সাহস পাননি। তারা তাদের ইচ্ছে মতো দর দিয়ে হাট নিয়েছেন নির্বিঘ্নে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন ক্লাবের মাঠে অস্থায়ী হাটের দরপত্র বিক্রি করা হয়। এ হাটের সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩১ হাজার ছিলো। এ হাটের জন্য ৩টি সিডিউল বিক্রি হয়। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দাখিল করেন নাজমুল হাসান সাজন, শাখওয়াত নামের দুই ব্যক্তি। পরে মাত্র ৩৩ হাজার টাকায় ইজারা পান আইয়ুব আলী।

খোজ নিয়ে জানা যায়, নাজমুল হাসান সাজন থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদলের ছোট ছেলে আর শাখওয়াত সাজনের বন্ধু। অপরদিকে আইয়ুব আলী কাশিপুর ইউনিয়নের প্যানের চেয়ারম্যান ও বাদলের ঘনিষ্ঠজন। সূত্র মতে, অন্য কেউ যাতে ইজারা না নিতে পারে এ জন্য আগে থেকে এ তিনজনকে দিয়ে তিনটি সিডিউল ক্রয় করা হয়। এক সিন্ডিকেট সদস্য হওয়ায় ওই দুইজন কম মূল্যে দরপত্র দাখিল করে যার কারনে সহজে হাট পেয়ে যায় আলোচিত আইয়ুব আলী। যিনি বন্ধন পরিবহনের স্বঘোষিত এমডি।

অপরদিকে, বক্তাবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাজাপুর এলাকায় হাটের সরকারী নির্ধারিত মূল্য ছিলো ৫২ হাজার টাকা। মাত্র ৫শ টাকা বাড়িয়ে এ হাটের ইজারা পান সাব্বির আহম্মেদ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সাব্বির আহম্মেদ ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলীর ছেলে। আওয়ামীলীগের নেতা শওকত আলীর ক্ষমতার দাপটের কাছে অন্য কেউ এ হাট নিতে সাহস পাননি। তাই কেউ সিডিউলও কেনেনি।