সংবাদচর্চা রির্পোট
দেওভোগে শাকিল হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। ২৯ জুলাই (সোমবার) বিকালে দেওভোগ মাদ্রসা এলাকায় আর্দশ নাগরিক ফাউন্ডেশনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল করে এলাবাসী।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিলের সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, শাকিল হত্যার সাথে মাদকের বেপারীরা জরিত। মাদক বন্ধে ভাল কাজ হাতে নিয়েছে কিন্তু একজন মেম্বার চেয়ারম্যানও আসলো না। আমরা রাজনীতি করছিনা। মাদক বন্ধে যুদ্ধ ঘষনা করছি। মাদকের বেপারীদের উচ্ছেদ করতে চেষ্টা করছি। আমরা চাই মাদকের বেপারীদের পুলিশ ক্রসফায়ার করুক। স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই। আপনারা মাদকের বেপারীদের উচ্ছেদ করতে সহযোগিতা করতে যদি না পারেন আমরা থেমে থাকবো না কিন্তু বাধা দিয়েন না।
দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মানিক মিয়া বলেন, অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অস্ত্র নিয়ে ব্যবসা করতে পারবো না। এলাকার বড়-বড় নেতারা সব যেনেও না জানার ভান ধরে বসে আসে। হত্যাকারীরা ১৫ জন ছিল। এলাকার ব্যবসায়ীরা দূবল তাই তাদের বাধা দিতে পারে নাই। রাত হলেই এলাকাতে অস্ত্র নিয়ে গুড়াফেরা করে।আমরা সকলে মিলে অস্ত্রধারীদের প্রতিহত করবো। আমরা শাকিল হত্যার ফাঁসি চাই।
নিহত শাকিলের মামা বলেন, আমার ভাগিনা প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। শাকিলের মা বাবা নেই। তার একটি ছোট মেয়ে আছে। যারা শাকিলকে হত্যা করছে তাদের ফাঁসি চাই। এলাকার সবাই মিলে যদি প্রতিবাদ করি। তাহলে কোন সন্ত্রাসী মাকদ ব্যবসায় এলাকায় রাজত্ব করতে পারবে না।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো বক্তব্য রাখেন আহত সজিবের পিতা নবী হোসেন, মাদ্রাসা বাজার কমিটির সভাপতি বাছেদ, সুমন মিয়াসহ প্রমুখ।
গত শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে দেওভোগের হাসেম বাগ এলাকায় একদল যুবক মোটর বাইক আরহীর গতিরোধ করে। হেড-লাইটের রশ্মি সূত্র ধরে মারধর করে। আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তাদের উপরও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় নিহত হয় শাকিল নামে এক যুবক। গুরুতর আহত হয় আরো ৪ জন। এ ঘটনায় রোববার ফতুল্লা মডেল থানায় নিহত শাকিলের বড় ভাই সাহিদ হোসেন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাদক ব্যবসায়ী তুহিন, নিক্সন ও চান্দুর নাম উল্লেখসহ আর বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখুন…