আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আমরা যখন জেলে ছিলাম তখন কারাগারে এত সুযোগ ছিলো না: আনোয়ার

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আমরা যখন জেলে ছিলাম তখন এত সুযোগ সুবিধা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাবান্দিদের উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে খাবারের বরাদ্দ বৃদ্দির পাশাপাশি, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করছেন। তার ফলেই আজ নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় সন্তান তার বাবার নামে পরিচিত হত কিন্তু আজ বাবা-মা দুইজনের নামেই তারা পরিচিত হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখানে যারা কারাবন্দি আছেন তাদের অধিকাংশই অর্থাভাবে অপরাধে লিপ্ত হয়ে এখানে আছেন। আপনাদের সেই অভাব, নির্ভরশীলতা দূর করার জন্যই এই বিউটিফিকেশন কোর্স। এই কোর্স শেষে যখন আপনার মুক্ত হবেন তখন আপনাদের অভাব, নির্ভরতা থাকবে না। আপনারা নিজ পায়ে দাড়াতে পারবেন এবং আত্মনির্ভর হবেন। জেলা পরিষদ আপনাদের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টায় জেলা কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডে বিউটিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

জানা যায়, প্রশিক্ষক সাবিরা সুলতানা নীলা আরো দু’জন সহকারী প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে কারাবন্দিদের অংশগ্রহণে কোর্সটি পরিচালিত হবে। ৯ মাস মেয়াদী প্রথম কোর্সে মোট ১০ জন কারাবন্দি অংশগ্রহণ করছে।
জেলা কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে ও ডেপুটি জেলার তানিয়া জামানের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর জেলা সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম, জেলার রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার আরিফুল রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমুখ।

জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রায় যাতে সর্বস্তরের মানুষ তাদের অবদান রাখতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ পরিচালনা করছেন। কারাবন্দিদের খাবারমান উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা তার মধ্যেই একটি। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে কারাবন্দিদের খাবারের বরাদ্দ ৩০ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। এখন জেলের মধ্যে থেকেও আপনাদের প্রিয় জনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। গত ২২ জুলাই রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে আমরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। যার আওতায় কারাবন্দিরা জেলখানায় উপার্জিত তাদের অর্থ তার পরিবারের কাছে পৌছাতে পারবে এবং পরিবারের সদস্যরাও তার জন্য টাকা পাঠাতে পারবেন।’