আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে যৌতুক মামলায় যুবকের কারাদন্ড

স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় বন্দর উপজেলার মোস্তাক নামের এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জের একটি আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে মুন্সিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হকের আদালত আসামীর অনুপস্থিতিতে ওই রায় প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত মোস্তাক উপজেলার মিনার বাড়ি বেজের গাঁও এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। সে মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক রয়েছে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মুকুল বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে আমার মক্কেল লিজা আক্তার মুন্সিগঞ্জের আমলী আদালতে তার স্বামী মোস্তাকের বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। আজ সেই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ আদালত। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামী পলাতক রয়েছে। আসামীর অনুপস্থিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আসামীকে ১ বছরের কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারান্ড প্রদান করা হয়।

মামলার বাদী লিজা চৌধুরী জানান, তাদের দাম্পত জীবনে দেড় বছরের একজন ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় ব্যবসার কথা বলে সাড়ে ১০ লাখ টাকা ধার নেয়। আমি আমার গহনা, জমি বিক্রি করে এবং বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার করে ওই টাকা দেই। বিনিময়ে সে সাড়ে ১০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে। কিন্তু চেকটি সময় মতো ইউনিয়ন ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখায় জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ ঘটনাও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মোস্তাকের বড় ভাই মাহফুজ আহম্মেদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি অঢেল ধন সম্পদের মালিক এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাই তিনি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন মামলা তুলে নিতে। শুধু সে নয় তার পক্ষে আরও অনেকেই হুমকি ধমকি দিচ্ছেন, প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ও দেখাচ্ছেন বিভিন্ন সময়। এ অবস্থায় আমি আমার ছেলেকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছি। আমি আইনের সুশাসন চাই।