আজ বুধবার, ১৩ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ধর্ষিতা সাথী আক্তারের জীবনের গল্প ও সুবিচারের দাবীতে আর্তনাদ

ধর্ষিতার গল্প : জামান খান এর সঞ্চালনায় সংবাদ চর্চার উদ্যোগে জীবনের গল্পে এবার চলে আসছে ধর্ষিতা নারী সাথী আক্তার । গানে কথায় বলে প্রেমে মরা জলে ডুবেনা, তথা‌পি সেই প্রেমই কখনো হয়ে যায় করো জীবনে বেদনা, সেই যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে সাথী আক্তারের আরাধনা।

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাথী আক্তার (১৯) নামের এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বন্দর থানায় এ ব্যাপারে ভূক্তিভোগী সাথী আক্তার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বন্দর উপজেলার কামতাইল লাঙ্গলবন্দ এলাকার বোরহানুদ্দিন মিয়ার ছেলে রতনের সাথে এক বছর পূর্বে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ আসার পথে বন্ধন বাসে পরিচয় হয় সাথী আক্তারের। সাথীর আক্তারের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করে প্রতারক রতন। এক সময় কথা বলতে বলতে সে রতন জানায় সে এই সাথীকে ভালবাসে এবং সেই সুবাদে সাথী প্রায় সময়  রতনের সাথে বিভিন্ন পার্কে দেখা করে এক সময় তাদের সাথে গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আর এই সুবাদে সে সাথীকে প্রমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোড় করে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ধর্ষিতা কিশোরী বিয়ের চাপ দিলে রতন এই কিশোরী কে বিয়ে করতে অস্বীকার  করে বলে অভিযোগে জানায় এই কিশোরী।

ধর্ষিতা সাথী আক্তার বলন  , আদমজী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় আমাকে একাদিক ভার ধর্ষন করে রতন। আমি বর্তমানে অন্তঃসত্তা আমি বিচারের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু আমাকে বন্দর থানায় পাঠানো হয়েয়ে বন্দর থানা থেকে একের পর এক সময় দিয়ে আমাকে চলে যেতে বলেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা। আমি ধামগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুমকে একাদিক ভার জানালেও তিনি আমাকে কোন ধরনের সাহায্যে করেনি। এছাড়া ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সলর সুলতানের কাছে জানালে তিনি কিছু করতে পারবো না আমাকে তারিয়ে দেন। আমি প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় গেলেও আমাকে অপেক্ষা করো দেখছি । আমি এখন অসহায়ের মত বিভিন্ন স্থানে গুরছি কিন্তু আমাকে কেউ সাহায্যে করছেনা।

বাচ্চু মিয়া বলেন,  আমার মেয়ের সাথে প্রতারনা করে তাকে ধর্ষন করা হয়েছে। ধর্ষক রতন আমার মেয়ে কে বিয়ে করেনি আমি একজন দিন মজুর আমার পক্ষে টাকা খরচ করে বিচার চাওয়া সম্ভব নয়।

অভিযোগের বিষয়ে বন্দর থানার ভার-প্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষীতা নারী পুলিশ সুপারের মাধ্যমে থানায় একটি অভিযোগ নিয়ে আসে,  আমরা আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন পরিদর্শককে দায়িত্ব দিয়েছি।

পুলিশ পরিদর্শক আহসান উল্লাহ বলেন, অভিযোগটি আমার হাতে পৌছেছে সরকারি অন্যান্য কাজ  এবং আজ একটি মামলার সাক্ষী থাকায় অভিযোগটি খতিয়ে দেখা সম্ভব হয় নি। তবে আগামীকাল অভিযোগটির সত্যতা  নিশ্চিত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ওসি সাহেব বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো বলে জানিয়েছেন ।