নবকুমার:
নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, যে কোন সময় বাণিজ্যিক ভাবে পাটের ব্যাগ উৎপাদন শুরু হবে। বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে পাট থেকে উৎপাদিত ‘সোনালি ব্যাগ’। যারা এখনো পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কর্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ জুট মিলস কোম্পানির (বিজেএমসি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেন গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে সাক্ষাত করতে এলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাটের উ’পাদন বৃদ্ধি করতে হবে। পাট চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাবে । বিশ্বব্যাপী পাটের বহুমুখী ব্যবহারে নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটপণ্যকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে পাটমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার নির্দেশে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) ২৩৫ দরনের পাটপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র চালু হয়েছে। পাটপণ্যের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বাড়াতে লক্ষ্যে চারকোল, ভিসকস, পাটপাতার পানীয়সহ নতুন নতুন বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এসময় মোবারক হোসেন পাটমন্ত্রীকে সোনালি ব্যাগের নমুনা হস্তান্তর করেন।
পরে মন্ত্রী সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসি বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পাটের সেলুলোজ ব্যবহার করে তৈরি পলিথিনের মতোই হালকা, পাতলা ও টেকসই ব্যাগের নাম দেওয়া হয়েছে সোনালি ব্যাগ। পাটের তৈরি এ ব্যাগ মাটিতে ফেললে তা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশ দূষিত হবে না। এই ব্যাগ দামেও হবে সাশ্রয়ী। পলিথিনের বিকল্প পচনশীল এই ব্যাগ তৈরির প্রকল্প উদ্বোধন করা হয় ২০১৭ সালের ১২ মে। বিজেএমসি’র তত্ত্বাবধানে রাজধানীর ডেমরায় অবস্থিত লতিফ বাওয়ানী জুট মিলে চলছে এই ব্যাগের উৎপাদন কার্যক্রম।