নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফতুল্লায় মেয়ে জামাতার ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন শ্বশুর ওহাব মিয়া (৬০)। ঘাতক খুনি জামাতার নাম আলমগীর হোসেন। যৌতুক নিয়ে পারিবারিক বিরোধে আলমগীর তার শশুরকে খুন করে। এ ঘটনার পর সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। সোমবার রাতে ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় রনি মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ওহাব মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার বাইজিদপুর এলাকার আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে। সে এক ছেলে তিন মেয়ে ও স্ত্রীসহ স্বপরিবারে রনি মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। ঘাতক খুনি আলমগীর ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকার সাত্তার গাজীর ছেলে।
নিহতের বড় মেয়ে রোকসানা বেগম জানান, তার ছোট বোন শাহানাজ বেগমকে সাত মাস পূর্বে আলমগীর হোসেনের কাছে বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় দুই ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা দেয় আলমগীরকে।
বিয়ের পর থেকে আলমগীর হোসেন যৌতুকের দাবীতে প্রায় সময় শাহানাজকে মারধর করতো। কয়েকদিন আগে মারধর করে শাহানাজকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে শাহানাজ বাবার বাড়িতে রয়েছে।
সোমবার রাতে আলমগীর আমাদের আলীগঞ্জের ভাড়া বাড়িতে এসে যৌতুকের টাকা দাবী করে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আমার বাবার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় এলাকাবাসী আলমগীরকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে শহরের ৩শ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আমার বাবাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহৃ মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পারিবারিক বিরোধে জামাই শশুরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। জামাইকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।