আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে ধর্ষণ করলেন শিক্ষক

সংবাদচর্চা রিপোর্ট : নীলফমারীর সৈয়দপুরে শ্রেণিকক্ষে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাবাড়ী শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ স্কুলছাত্রীর মায়ের।

নির্যাতিত ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ে বাড়ির শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার সকালে সে অন্যান্য দিনের মতো স্কুলে যায়। দুপুরের দিকে আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে আমাকে জানায়, জাহিদুল মাস্টার তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। অনেক বোঝাবুঝির পড়ে মেয়ে আমাকে ঘটনা খুলে বলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার ৫ জন শিক্ষকের স্থলে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য দুজন শিক্ষক ছুটিতে থাকায় দুপর দেড়টার দিকে স্কুল ছুটি দেয় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। এ সময় মাঠে খেলতে থাকা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীটিকে ক্লাসরুমে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে।

ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, তিনি বৃহস্পতিবার বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি মিমাংসা করার কথা বলেন। এলাকার মেম্বার নুর নবীকে জানালে শনিবার সকালে সেও মীমাংসার কথা বলে টালবাহানা শুরু করে। এরপর প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মিমাংসা করার জন্য বার বার চাপ দিতে থাকলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিতে চাইলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।


এলাকাবাসী জানায়, জাহিদুল ইসলাম এর আগেও এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে গেছে। কিছু দিন আগে সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড মেম্বারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে।

প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, বুধবার আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে ঘটনাটি বৃহস্পতিবার মেয়েটির মা আমাকে জানিয়েছে। মিমাংসার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।


কামারপুকুর ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন জানান, ঘটনার ৪ দিন পর শনিবার দুপুর ১টার দিকে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহজাহান মন্ডল জানান, ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে শুনেছি। ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, অভিযোগ পেলে ছাত্রীটিকে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেয়া হবে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে রোববার তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি এবং তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।