আজ মঙ্গলবার, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মদনপুর রণক্ষেত্র নিহত ১, পুলিশ সহ আহত অর্ধশত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় শনিবার রাতে ব্যাপক সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু ও পুলিশ সহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। দুই গ্রæপের সংঘর্ষের কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও প্রচুর ফাঁকা গুলি ছুড়ে। সেখানে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নিহতের নাম আশিকুর রহমান (২৫)। সে মদনপুরের চানপুর এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে। আশিকুর রহমান মদনপুরের প্যানডেক্স গার্মেন্টের শ্রমিক।
নিহতের পরিবারের লোকজন বলছেন, আশিকুর বিকেলে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর সন্ধ্যায় বাজার করতে গেলে সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে প্রাণ হারায়।
জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমির হোসেন ও খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত ১৮ নভেম্বরও দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে।

গতকাল ১২ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় মদনপুর এলাকার ড্রিমল্যান্ড নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে নূর নবী ও রিফাত নামের দুইজন যুবককে আটক করা হয়। তারা মূলত খলিল মেম্বারের লোক। এ খবর স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খলিল মেম্বারের লোকজন এসে পুলিশকে ঘিরে রাখে। তারা আটক দুইজনকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। তখন পুলিশ বাধা দিলে তাদের উপর হামলা শুরু হয়। ওই সময়ে আমির হোসেনের লোকজন পুলিশের পক্ষ নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৭টায় মদনপুর এলাকার প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান ও তার পক্ষের লোকজনও পুলিশকে ধাওয়া করলে পুলিশ পাল্টা অ্যাকশনে যায়।

সংঘর্ষে পুলিশের এস আই মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ, মোহন সহ ৪জন আহত হয়। এছাড়া স্থানীয় অন্তত আরো ৪০ থেকে থেকে ৪৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বাবু নামের এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাত ৯টায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বন্দর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের পর এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ জানান, কেউ মারা গেছে কি না বিষয়টি পুলিশের জানা নাই।