আজ মঙ্গলবার, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে রেলওয়ে কোয়ার্টারের হোতারা দুর্নীতিতে মেতে উঠেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকারী রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতি এগিয়ে যাচ্ছে ছোট, বড় বিভিন্ন দখলবাজ, চাঁদাবাজ ও রাজনৈতিক পরিচয়ধারী অসাধু ব্যক্তিদের ধারা। সারা দেশের রেলওয়ের জমি দখল করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এ সকল ব্যাক্তিরা। এ সকল ব্যক্তিদের দূর্ণীতির কারনে দেশ আজ এগিয়েও যেন পিছিয়ে যাচ্ছে। সরকারের শত চেষ্টাকে যেন ধূলিশাত করতে মরিয়া। বার বার সংবাদে কেন নারায়ণগঞ্জ? নারারায়ণগঞ্জ মানেই কি শুধু কলংক? নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য কী আজ বিলিন? এরা করা? যারা নারায়ণগঞ্জের আত্ম মর্যাদাকে নিশাত করে দিচ্ছে। এরা প্রজতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী নাকী প্রজতন্ত্রের লুণ্ঠনকারী?

প্রসঙ্গ নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে বিভাগ। নারায়ণগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃর্ন এই রেলওয়ে বিভাগ। নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জমিতে অবসস্থিত বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব রেলওয়ে কোয়াটার নির্মান করেছিল রেলওয়ে কতৃপক্ষ কিন্তু এ সকল কোয়াটার গুলো কে বর্তমানে দখল করে রেখেছে বিভিন্ন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও রাজনৈতিক পরিচয়ে আশ্রয়ধারী নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ রেলয়ের সম্পত্তিতে স্থাপিত বিভিন্ন সরকারি কোর্টারে গড়ে উঠেছে খারার রেস্তোরা, হোসেয়ারী বিভিন্ন কারখানা এছাড়া রাজনৈতিক দলের র্কাযলয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। রেল ওয়ের কোয়াটার সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসবাস করার জন্য বরাদ্ব করা হলে বর্তমানে এ সকল কোয়ার্টারে থাকে না কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

গতকাল শুক্রবার ডি.আই.টি রেলওয়ে কোয়ার্টারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মক্কা টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স, আল-মদিনা টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স, হাজী রেস্তোরা সহ বিভিন্ন হোসিয়ারী গার্মেন্টস কারখানা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এবং কথিত পঞ্চায়েত কমিটির অফিস। আর এ সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছে সরকারি কোয়ার্টারে যা এলর্টম্যান করা হয়েছে রেলওয়ে বিভাগের কর্মরত বিভিন্ন কর্মচারীকে।

সরকারী রেল কোয়াটার গুলো ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের অনেক কর্মচারীকে বরাদ্ব করা হলেও কর্মকর্তা কর্মচারী সরকারী রেল কোয়াটার বরাদ্বের সাথে সাথে ডি আই টি রেলওয়ে কোলনী এলাকার জাতীয় পার্টির কথিত নেতা আলী হোসেনের ছেলে কোরবান আলী কানু, শাহজাহান এর মেয়ের জামাই অবৈধ ঝুট ব্যবসায়ী সুমন, দুলু মিয়ার ছেলে নাহিদ ও নাছিরসহ কিছু অসাধু ব্যাক্তিকে মাধ্যমে…. ভাড়া দিয়ে দেয়।

নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক কোয়াটারে বাসিন্দা জানান, ডিড পেপারের মাধ্যমে জামানত বাবাদ ১ লক্ষ টাকা ও মাসিক দশ হাজার টাকায় কোয়াটার ভাড়া নিয়েছি। আর রেস্তোরা ও হোসেয়ারী কারখানা ভাড়া দশ হাজার টাকার বেশী দিতে হয়। এই ভাড়ার টাকা ও সরকারী কোয়াটার নিয়ন্ত্রন করে ডি আই টি রেলওয়ে কলোনী নামের কথিত পাঞ্জায়েত কমিটির বিভিন্ন লোকজন।

তিনি আরো বলেন, মূলত এ সকল কোয়াটারগুলো নিয়ন্ত্রন করে জাতীয় পার্টির নামধারী কথিত নেতা আলি হোসেনের ছেলে কোরবান আলী কানু, দুলু মিয়ার ছেলে নাহিদ, নাছির ও শাহজাহানের জামাতা সুমন মিয়া।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কোরবান আলী কানু স’মিলের একজন সাধারণ কর্মচারী। সাধারণ স’মিলে কাজ করে আজ সে কোটি টাকার মালিক। এলাকাবাসীও জানেনা তার এই টাকার উৎস কোথায়? এছাড়াও ঝুট ব্যবসায়ী সুমন হাবিব কমপ্লেক্স মার্কেটে কয়েকটি হোসিয়ারী কারখানা ও বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে ওয়েষ্টেজ ঝুট কেনা বেচা করেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের পরিচয় দিয়ে হুমকি ধামকি প্রদান করে সাধারণ হোসিয়ারী মালিকদের জিম্মি করে গড়ে উঠেছে তার বৈধ ঝুটের ব্যবসা। অপর দিকে নাহিদ ডি.আই.টি কাঠ মার্কেটর সাধারণ একজন বার্ণিশ মিস্ত্রি হিসেবে পিরিচিত। তার সেই পরিচয় ছাপিয়ে তিনি আজ জাতীয় পার্টির কথিত নেতা বনে গেছে। এ ছাড়া নাছির ডি.আই.টি জামে মসজিদের উন্নয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে অত্র এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাকারদের কাছ থেকে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদায় আদায় করে থাকেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে।

সরকারী রেলওয়ে কোয়াটার ভাড়া ও অসাধুদের দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ রেল মাষ্টার গোলাম মোস্তফা বলেন,

রেলওয়ের সরকারী কোয়াটার গুলো বিভিন্ন আমার অধিনে কম এসকল কোয়াটার গুলো মেডিকেল বিভাগ ও প্রকৈাশলী বিভাগের বেশী তাই আমি চাইলেও কিছু করতে পরি না। কর্মচারীদের কাছ থেকে এলটমেন্টের সাথে সাথে এরা যোগাযোগ করে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে ভাড়া নিয়ে নেয়।

জিআরপি পুলিশে ইনর্চজ মীর সাব্বির জানান, আমি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছি। আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা অতি সত্তর এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।