আজ রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেষ মুহুতের প্রচারণায় নিরব বিএনপি সক্রিয় আ.লীগ

শেষ মুহুতের প্রচারণায়

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বও অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে বিএনপি যাদের মনোয়ন দিয়েছেন তাদের অধিকাংশ প্রার্থী দল ছুট আর অপরিচিতি। তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের মেনে নিতে পারছেন না। নির্বাচনের শেষ সময় এসে বিএনপির মধ্যে কোন্দল দেখা দিয়েছে। তারা মাঠে নামছে না। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা বেশ ব্যাকফুটে রয়েছে। তাদের নামে রয়েছে একাধিক নাশকতার মামলা। নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় ভেবে কিছু কিছু বিএনপির নেতা আওয়ামীলীগের সাথে মিলে চলছে। বাকী কিছু নেতা নতুন করে মামলায় জড়াতে চাচ্ছে না।

নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে রূপগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান কে ।তার নামে রয়েছে শ্রমিক নির্যাতনের মামলা। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে কাজী মনিরুজ্জামানের পক্ষে কোন বিএনপির নেতাকর্মী মাঠে কাজ করছে না। রূপগঞ্জের বিএনপির মধ্যে কোন্দল চরমে। এ দিকে রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ মাঠে থাকার চেষ্টা করলেও তার পক্ষে কাজ করছে না বিএনপির একটি অংশ। আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু চালকের আসনে রয়েছে। তার বিশাল কর্মীবাহিনী মাঠে কাজ করছে।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। তাকে মাঠে তেমন দেখা যাচ্ছে না।তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলে জনসভা বর্জন করেছেন। তার জন্য তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্ষোভ রয়েছ্ ে। এখানে মহাজোটের প্রার্থী গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তার কর্মী সমর্থ দের নিয়ে।
নারায়ণগঞ্জে ৪ আসনে ঐক্যফন্টের প্রার্থী কাশেমীকে মেনে নিতে পারছে না বিএনপির বৃহত একটি অংশ । ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীরা কাশেমীর প্রচারণায় নামছেনা। বিএনপির অনেক হেভিওয়েট নেতারা বলেছে কাশেমী আমাদের দলে নয় তার জন্য কাজ করতে গিয়ে নতুন করে মামলা খেতে চাই না। এ দিকে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রাথী শামীম ওসমানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তার বিশাল কর্মীবাহিনী মাঠে করছে।
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এস এম আকরাম।তিনি বিএনপির নেতা নন। সদর বন্দরের নেতারা তার পক্ষে কাজ করতে চাচ্ছে না। শেষ মুহূতে আকরামকে তেমন গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে না। যা করছেন একক ভাবে করছেন তিনি। তার তেমন কর্মী বাহিনী নেই। এদিকে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমান বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। তার রয়েছে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  মামলার ফলে বিএনপি দলটির অস্তিত্ব এমটিতে সংকটাপন্ন হয়ে যাচ্ছে। তার উপরে নির্বাচনের মত একটি সময়েও যখন এতো হামলা, মামলা হচ্ছে তখনও বিএনপি দলটি সরব হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেনা। তারা একতার মধ্যে আসতে পারছেনা। উল্টো মনোনয়ন ইস্যুতে দলের মধ্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এতে করে বিএনপি দলটির অস্তিত্ব আরো সংকটে পড়ে যাচ্ছে। তাই দলটির সামনে একদিকে রয়েছে ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার মিশন। অন্যদিকে রয়েছে দলটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মিশন। কিন্তু এর কোনটি এখন পর্যন্ত তারা করতে পারছেনা। তবে এখনো নির্বাচনের আরো কয়েকদিন বাকি আছে। আর সেই সময়ের মধ্যে দলটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা তা এখন দেখার বিষয়।