আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এরশাদকে ৫২ আসনে ছাড় দেবে আ.লীগ

এরশাদকে ৫২

এরশাদকে  ৫২ নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ বা কালকের (২৫ নভেম্বরের মধ্যে) মধ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর কষাকষির পর যে কোন সময় প্রকাশ   হতে পারে জাতীয় পার্টির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের ৫২ আসন ছাড়ের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) রাতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দ্বি-পাক্ষিক মিটিং এ সমঝোতা হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে, জোটের আসন দফারফার বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকেও মুখ খোলেনি কেউ। এমনকি দলের সিনিয়র নেতারাও কোনো কথা বলতে অপারগতা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, জাতীয় পার্টির ৫২ আসনের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের মুখোমুখি হন ত্যাগী নেতারা। এ সময় জাপা মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার নেতাদের আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, ৫২ আসনের দরকষাকষি এখনো হয়নি। আজ অথবা কাল (২৫ নভেম্বরের মধ্যে) বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

জানা গেছে, আ. লীগ ৫০টির নিচে আসন দেওয়ার জন্য রাজি আছে। জাতীয় পার্টি ৫২টি আসন নিয়ে একটি তালিকা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তালিকায় এই নামগুলো থাকার সম্ভাবনা বেশি। এরা হলেন, গাইবান্ধা-৩ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার। রাজশাহী-৩ শাহবুদ্দিন বাচ্চু, নাটোর-২ মজিবুর রহমান সেন্টু, নাটোর- ৪ সালাউদ্দিন মৃধা, বগুড়া-২ শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, জয়পুরহাট-২ কাজী আবুল কাশেম রিপন, ঠাকুরগাঁও-৩ মো.হাফিজউদ্দিন, দিনাজপুর-৬ মো.দেলোয়ার হোসেন। সিলেট-২ ইয়াহহিয়া চৌধুরী, সিলেট-৫ মো.সেলিম উদ্দিন। সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, হবিগঞ্জ-১ আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-৩ আতিকুর রহমান আতিক। বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না, পটুয়াখালী-১ এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পিরোজপুর-৩ ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী। বরগুনা-২ আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দে।

এ সম্পর্কে জাপার একজন জয়েন্ট সেক্রেটারি নাম গোপন রাখার স্বার্থে বলেন, আসন সমঝোতার বিষয়টি আজকালের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। জাপা থেকে একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গণভবন সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সারাদিনে মনোনয়ন বা দলীয় কোনো ইস্যুতেই শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পাননি নেতারা। গণভবনের জন্য যাদের পাশ ছিল তাও বাতিল করা হয়।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ভোটের চেয়ে শেষ মুহূর্তে জোট নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। জাপা দুই থেকে তিনটি আসনে একেবারেই ছাড় দিতে নারাজ। বিশেষ করে ঢাকার আসনটিতে ছাড় দিতে রাজি নয় জাতীয় পার্টি। এ নিয়ে এখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে দরকষাকষি অব্যাহত আছে। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত সংকেতে এরই মধ্যে প্রার্থীরা মাঠে নেমে গেছে বলেও গুঞ্জন আছে।

আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে ১৪ দল, জাপা এবং বিকল্প ধারার সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে অঘোষিত আলোচনা করেছে। বিকল্প ধারার জোটের জন্য দুটি সিট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, বি চৌধুরীও এখনও কোনো আসন পাননি বলে জানা গেছে।