সংবাদচর্চা রিপোর্ট: গোলাম দস্তগীর গাজী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক কিংবদন্তির নাম। তিনি রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। গোলাম দস্তগীর গাজীর দক্ষ নেতৃত্বে বদলে গেছে রূপগঞ্জ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন থেকে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামানকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
এরপর থেকে রুপগঞ্জে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি তার মেধা আর পরিশ্রমে মাত্র দশ বছরে রুপগঞ্জকে আধুনিক শহরে রুপান্তরিত করেছেন। বাস্তবায়িত করেছেন মেগা প্রকল্প। ২০০৯ সালের পূর্বে রূপগঞ্জের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা ছিলো। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরের শাসন আমলে তিনি রূপগঞ্জের রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রচেষ্টায় মুড়াপাড়া কলেজ এবং মুড়াপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণ হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে রূপগঞ্জে ব্যাপক শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেছে। গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জের কয়েক হাজার বেকার যুবককে চাকরি দিয়েছে। তিনি তরুণদের জন্য খেলার মাঠ নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছেন। নিয়মিত তরুণদের নিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে।
তরুণদের ডাকে গোলাম দস্তগীর গাজী সর্বদা সারা দিচ্ছেন। সর্বশেষ রুপগঞ্জ গ্রেজুয়েট এসোসিয়েশনের জব ফেয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রুপগঞ্জের হাজারো তরুণদের মন জয় করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রূপগঞ্জে তরুণদের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। জানা গেছে রূপগঞ্জে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭শ ৯১ জন ভোটার রয়েছে। গত নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে দেখে গেছে নির্বাচনকে সামনে রেখে রূপগঞ্জে শত শত তরুণ গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তরুণ ভোটাররা গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে।
জানতে চাইলে গতকাল মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মানিক বলেন, স্থানীয় সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী আমাদের কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, আমাদের কলেজকে সরকারীকরণ করেছে অামরা তার প্রতি কৃতঞ্জ। আমরা আগামী নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজীকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।
রুপগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা তোলারাম কলেজের ছাত্র হাসান বলেন,আমাদের বাড়ি থেকে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হতো । কিন্তু গাজী বাইপাস সড়কের ফলে আজ আমরা দ্রুত নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকাতে যাতায়াত করতে পারি । তাই আমরা তরুণ ভোটাররা বেধেছি জোট গাজী সাহেব কে দেব ভোট।
শিশির বলেন, এলাকায় যে উন্নয়ন করবে,যার নামে কোন দুর্নীতির অভিযোগ নেই আমরা তাকেই ভোট দেব সে ক্ষেত্রে যেহেতেু গাজী সাহেব বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ করদাতাদের মধ্যে একজন সেহেতু তিনি নিশ্চিয় একজন সৎ লোক। তাই আগামী নির্বাচনে গাজী সাহেব এগিয়ে থাকবেন।
রুপগঞ্জ গ্রেজুয়েট এসোসিয়েশনের নারী নেএী ফারজানা বলেন, গাজী সাহেবের আচরণ খুবই ভালো। আমরা তার ব্যবহারে মুগ্ধ। সে যদি মনোনয়ন পায় আমরা তরুণ ভোটাররা তাকেই ভোট দেব।
রুপগঞ্জ গ্রেজুয়েট এসোসিয়েশনের সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী বলেন, গাজী সাহেব আমাদের জন্য যতুটুকু করেছেন তা ভুলার মতো না । আমাদের বেশকিছু বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে দিয়েছেন এমপি গাজী।
রুপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক রিয়াজ বলেন, ছাত্রদের স্বার্থ ও কল্যাণে গোলাম দস্তগীর গাজী অাপোষহীন। তাই তিনি ক্ষমতায় আসার প্রথমদিন থেকে শিক্ষাখাতকে ব্যাপক গুরূত্ব সহকারে দেখেছেন। অবকাঠামোগতভাবে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তিনি উন্নত করেছেন। তাছাড়া সর্বশেষ নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে থেকে আন্দোলনে সহমত প্রকাশ করে তিনি রীতিমত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন জয় করেছেন । তাই আগামী নির্বাচনে সাধারণ তরুণ ছাত্রছাত্রীদের প্রথম পছন্দ হিসেবে থাকবেন এমপি গাজী।
জানা গেছে তরুণদের প্রায় শতাধিক সংঠনের সাথে গোলাম দস্তগীর গাজী জড়িত রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, রূপগঞ্জে তরুণ ভোটারের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তরুণ সমাজকে যে দলের প্রার্থী আকৃষ্ট করতে পারবে সেই দল এখানে বিজয়ী হবে। তাছাড়া স্কুল কলেজে নতুন ভবন স্থাপনের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদেরও মন জয় করতে পেরেছেন।তিনি। তাই রুপগঞ্জে কৌশলগত ও ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে তরুণদের পছন্দের তালিকায় থাকবেন এমপি গাজী।