আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাকিস্তান কে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

পাকিস্তান কে হারিয়ে

পাকিস্তান কে হারিয়ে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠেছে বাংলাদেশ। গত রাতে আবুধাবিতে চলমান এশিয়া কাপের পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনালে টান টান উত্তেজনাকর জয় পেয়েছে টাইগাররা। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।

মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাটে ভর করে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে ২৪০ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। ২৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানকে চেপে ধরে মাশরাফি বাহিনী। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০২ রান করে পাকিস্তান। ফলে ৩৭ রানের জয় নিয়ে ১৪ তম এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

এ নিয়ে এশিয়া কাপের আসরে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা। দু’বার রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের।

২৪০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তান দলীয় মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে শোয়েব মালিক ও ইমাম-উল হক মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। তখনই সাজঘরে ফিরেন শোয়েব (৩০)। কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরেন শাদাব খানও (৪)। পরে ইমাম ৮৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়েও নিয়েছিলেন। তাকে যোগ্য সহায়তা দিয়েছিলেন আসিফ আলী (৩১)। কিন্তু দুজনেই ফিরে গেলে সেই অবস্থা থেকে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।

বাংলাদেশের পক্ষে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ৪৩ রানে চার উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস নামান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৮ রানে দুটি এবং রুবেল হোসেন, মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট পান।

এর আগে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি তার আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি। দলীয় ৫ রানের মাথায় ০ রানে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য। এরপর ১২ রানের মাথায় পরপর দুই উইকেটের পতন। মুমিনুল ৫ রান করে বোল্ড হন শাহিন শাহের বলে। আর ৬ রানে জুনায়েদ খানের শিকারে পরিণত হন লিটন দাস। সেখান থেকে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন ও মুশফিকুর রহিম। মিথুন ফিরেন ৬০ রানে। তবে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন মুশফিক ৯৯ রানে আউট হন তিনি।

পাকিস্তানের হয়ে জুনায়েদ খান ৪টি, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলী ২টি শাদাব খান ১টি উইকেট নিয়েছেন।