আজ বুধবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত

সিদ্ধিরগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে সিদ্ধিরগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে সিক্ষার্থিরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগর এমডব্লিউ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মিছিলটি সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় আসলে সেখান থেকে সদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই মিছিলে যোগদান করে। পরে মিছিলটি শিমরাইল মোড়ে এসে উপস্থিত হলে সেখানে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচবাংলা মোড় টার্নিং পয়েন্টে অবস্থান করে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে দোষী চালকের শাস্তির দাবীতে। এসময় কয়েক শিক্ষার্থী বলে,সড়কে প্রতিনিয়ত এভাবে মানুষ হত্যা আমরা মেনে নেবো না। আমরা শিক্ষার্থীরাসহ সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে সরকারের।

অতি শিঘ্রই চালকদের শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। এদিকে বেলা ১১টায় বৃষ্টি নামলে তা উপেক্ষা করেই কার্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে।

এদিকে বেলা সোয়া ১২টায় নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক এবং ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানাল পরিদর্শক (অপারেশন) আ: আজিজ শিক্ষার্থীদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। তাদের দেয়া আশ্বাসে পরও শিক্ষার্থীরা বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করেই আন্দোলন করতে থাকে। পরে বেলা ১টা ৩০মিনিটে পুনরায় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। এসময় শিক্ষার্থীরা এদিনের মতো কমসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলে ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল শুরু করে। এসময় যেসব যানবাহনের বৈধ কাগজ এবং চালকদের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়নি তাদের আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগীতায় বৈধ কাগজপত্র বিহীন গাড়ি না চালানোর শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বেলা আড়াইটায় পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয় এবং যানবাহন চলাচল আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।