ফতুল্লা সংবাদদাতা : গত ২৯ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ স্কাউট, নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে মহাতাবু জলসা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ স্কাউটস, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি রাব্বী মিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্কাউটস নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্পাদক ফজলুল হক ভূইয়া মন্টু। এছাড়াও মহাতাঁবু জলসা অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহঃ প্রধান শিক্ষক আফরোজা, শিক্ষক সাহাবুদ্দিন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রণজিৎ মোদক, সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ লিটন, তাজুল ইসলাম প্রধান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তিনি তার নিজের জীবনের কঠোর অধ্যবসায়ের কথা উল্লেখ করে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য পরিশ্রমী হতে পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, নিজেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজেদের জীবন গড়ার কাজ নিজেদেরই করতে হবে। সেবার মাধ্যমেই মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে হবে। মানুষকে যারা ভালবেসেছে তারাই আজ পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করেছে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কিশোরকালের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি তার বক্তব্যে স্কাউটদের নির্মল চরিত্রের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যে কষ্ট আমরা করেছি, সে কথা মনে হলে আজও কান্না পায়। আমরা দেশ স্বাধীন করে তার বিনিময় পেয়েছি জাতীয় সংগীত ও একটি জাতীয় পতাকা। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে আলোকিত করতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ স্কাউটস নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে গত ২৬ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত উপদল নেতা প্রশিক্ষণ ও ব্যাজ কোর্স-২০১৮ স্কাউটস সমাবেশে জেলার ৫৫টি স্কুলের স্কাউটস ও গার্লস গাইডের ২৫০জন ছাত্র-ছাত্রী প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করেন। জেলার সর্ববৃহৎ স্কাউট সমাবেশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।