আজ মঙ্গলবার, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্যবসায়ীক লেনদেনে হত্যাকান্ড- পুলিশ সুপার মঈনুল হক

লেনদেনে হত্যাকান্ড

লেনদেনে হত্যাকান্ড

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যাকান্ড ব্যবসায়ীক লেনদেনের কারণেই ঘটেছে বলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা গণমার্ধশ কর্মীদেরকে জানান।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ নিখোঁজের ঘটনায় নগরীতে বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। যার ফলে বিষয়টি আপনাদের জানানো প্রয়োজন। প্রবীর ঘোষ নিখোঁজ হওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে তদন্ত শেষে মামলা হলে পরবর্তীতে তা জেলা গোয়েন্দা সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের একটি পর্যায়ে নিখোঁজ প্রবীর ঘোষের মোবাইলটি কুমিল্লায় বাপন ভৌমিকের নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে প্রবীর ঘোষের বন্ধু পিন্টু দেবনাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে লাশের সন্ধান পাই। তার লাশটি ৫ খন্ড অবস্থায় পিন্টুর ভাড়াটিয়া বাসার সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তারাই তাকে হত্যা করেছে। তবে কেন ও কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে এব্যাপারে তদন্ত চলছে। এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভৌমিকের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে দুই পুরুষ যাবৎ গভীর সম্পর্ক ছিলো।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রবীর ঘোষ ও পিন্টু দেবনাথ খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। ব্যবসায়ীক লেনদেনের কারনেই এই নির্মম হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে বলেই আমাদের ধারনা। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দু’জন হলো স্বর্ণ ব্যবসায়ী পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভৌমিক। তবে এই হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল কারন উদঘাটিত হবে। এব্যাপারে পরবর্তীতে তা আপনাদের জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ শরফুদ্দিন আহম্মেদ, মোঃ ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য যে, গত ১৮ জুন রাত সাড়ে নয় টায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় পরের দিন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করা হয়। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টাকালে মোবাইল ফোনে মুক্তিপন চাইলে ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর মডেল থানায় একটি অপহরন মামলা হকরা হয়, যার নং- ৪৯(০৬)১৮, ধারা ৩৬৪।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ