বন্দর প্রতিনিধি:
সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান অব্যহত রয়েছে। এই অভিযানেও থেমে নেই বন্দরে মাদক ব্যবসা। অলিগলিতে মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়ি ও মাদক মহামারি আকার ধারণ করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও নাসিকের ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় শতাধিক মাদকের স্পট রয়েছে । হাত বাড়ালেই মিলছে মরন নেশা ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক দ্রব্য। মাদক নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রশাসন তৎপরতা চালালেও তা লোক দেখানো মাত্র। এসব কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ৯টি ওয়ার্ড ও বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে বন্দর থানা। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক হচ্ছে মাদক পাচারের ট্রানজিট রুট। এ মহাসড়ক ঘেষে বন্দর উত্তরাঞ্চল মদনপুর, ধামগড় ও মূছাপুরসহ ৩টি ইউনিয়ন এলাকা। মহাসড়কের পাশে এ ৩টি ইউনিয়ন এলাকাগুলো নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদকের চালান এখনে নামিয়ে তা শহরের পাচার করা হচ্ছে। এসব মাদক দ্রব্য চালান পাচার করতে পরিবহন হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সিএনজি, অটোবাইক, অটোরিকশা, এবং নৌ পথ হিসাবে ব্যবহার করছে ব্রহ্মপূত্র নদ ও শীতলক্ষ্যা নদী।
নাসিক ২৫ নং ওয়ার্ড লক্ষনখোলা এলাকায় আক্তার হোসেন, মারবেল, শুকুর আলী, সরদার, হরিপুর এলাকায় বাদশা মিয়া,আলাউদ্দিন, কবির, তালু ও জনি, হক বেপারীর ছেলে জসিমউদ্দিন জসু, আক্তার, চৌরাপাড়ার নুরাকানার ছেলে মাদক স¤্রাট আক্তার ওরফে পাতলা খান, মজিবর ওরফে মইজ্যার ছেলে মাদক স¤্রাট আকবর , মিলন মিয়ার ছেলে মাদক স¤্রাট আলআমিন, আতিকুর, মন্না খলিফার ছেলে মাহফুজ, খালেক মিযার ছেলে আলীআজম, নাসির, আনু, নুরুজামাল, ধনু,মনির , হুমায়ুন, মিছির আলীর ছেলে আরিফ, ফিরোজ মুন্সীর ছেলে সাক্কু ,মুক্কা, কামাল, মুতি মিয়ার ছেলে সাদ্দাম অভিযানেও দেদারসে ইয়াবা , গাজা ও ফেনসিডিলের ব্যবসা করছে।
বন্দর থানার ওসি একেএম শাহীন মন্ডল জানান, মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে মত বিনিময় সভা করা হচ্ছে। প্রতিটি পাড়া মহল্লার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা চুড়ান্ত হলেই গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হবে। তার পর বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে ।