আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্যায়াম ছাড়াই যে ভাবে ওজন কমাবেন

ব্যায়াম ছাড়াই

ব্যায়াম ছাড়াই

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

ওজন কমানোর জন্য মানুষ কত কিছুই না করে ।ওজন কমানোর কথা মাথা এলেই আমরা প্রথমে ডায়েট আর ব্যায়ামের কথাই বলি। কিন্তু প্রতিদিন স্ট্রেস ও কাজের চাপে খাওয়া ও ব্যায়ামের রুটিন ঠিকমতো পালন করতে পারি না।

আর প্রতিদিনের ডায়েটও কিছুদিন পর আর হয়ে উঠে না। তাই আবারো ঝুঁকে পড়ি পিৎজা, পাস্তা, মিষ্টি, চিপস, প্রসেসড ফুডসের দিকে।

আপনি জেনে খুশি হবেন যে, ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবারও থাকবে, আবার বাঙালির রসনাও পরিতৃপ্ত হবে, সেই সঙ্গে কমবে ওজন।

আসুন দেখে নেই ব্যায়াম ছাড়াই কীভাবে কমাবেন বাড়তি ওজন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

শসার জুস

শসায় রয়েছে বহুবিধ গুণ। এর উপকারিতা আলাদা করে বলার কিছু নেই। শসাতে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে, তাই ওবেসিটি থেকে ডায়াবেটিস যে কোনও রোগেরই উপযুক্ত পথ্য হলো শসা।

লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ভেতর থেকে বীজগুলো বের করে নিন। এবার মিক্সারে ছোট ছোট টুকরো করা লাউয়ের সঙ্গে অল্প আমলা, আদা, মিন্ট পাতা, নুন ও জিড়ে গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

এবার ওই মিশ্রণে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে মেদ ঝরতে বাধ্য।

টমেটোর জুস

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তা যেমন ত্বকের জন্য ভালো, তেমনি পুষ্টিকর ডায়েট। টমেটোতে ক্যালরির মাত্রা খুব কম থাকে, পাশাপাশি থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড লাইকোপিন যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন টমেটোর জুস বানিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকেও রেহাই মেলে। এর ফাইবার অনেকক্ষণ অবধি পেটভর্তি রাখে, ফলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।

পুষ্টিবিদদের মতে টমেটোর ৩০ শতাংশ অবধি ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।

টমেটো ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। দু’কাপ জলে লেবুর রস, নুন আর টমেটোর পেস্ট মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে মিক্স করে নিন। প্রতিদিন নিয়ম করে এই জুস খেলে কমবে বাড়তি ওজন।

লাউয়ের জুস

লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা শুধু হজমশক্তি বাড়ায় না, পেটের যাবতীয় রোগ নির্মূল করতেও সাহায্য করে। গরমের সময় নিয়মিত ডায়েটে লাউ রাখলে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রেহাই মেলে।

ভিটামিন এ সি, কে-র পাশাপাশি লাউতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরল দূর করে।