আজ শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দ্বিতীয় দিনের মতো বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফতুল্লার আলীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিইটিএ। বিআইডিব্লিউটিএ’র নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট শামীম বানু শান্তি’র নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদরঘাট নদী বন্দরের যুগ্মপরিচালক আরিফ উদ্দিন, সহকারি পরিচালক মুজিবুর রহমানসহ বিআইডিব্লিউটিএর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আলীগঞ্জ আফসার ওয়েল মিলের গোডাউনের পেছনে বুড়িগঙ্গা নদীর ভেতরে ঢুকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে এবং গাছের গুড়ি পুঁেত প্রায় দেড় একর জায়গা ভরাট করা অংশের মাটি ভেকু দিয়ে কেটে অপসারন করা হয়। কয়েকটি ছোট ছোট টিনসেড স্থাপনাও, বাসের জেটি উচ্ছেদ করা হয়।
রাজধানীর সদরঘাট নদী বন্দরের যুগ্মপরিচালক আরিফ উদ্দিন জানান, বিআইডিব্লউটিএ বুড়িগঙ্গা নদীর পোস্তগোলা থেকে ফতুল্লার পঞ্চবটি পর্যন্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল ও তার সহযোগিরা ওয়াকওয়ের রেলিং ভেঙ্গে নদীর ভেতরে ঢুকে প্রায় দেড় একর জায়গা ভরাট করে বালু, পাথর, কয়লাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপন্য লোড আনলোডের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। বুধবার অভিযানের আগে ওই সব দখলদাররা তাদের লোডআনলোডের ব্যবহৃত ক্রেন ও স্তুপ করে রাখা মালামাল নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছে। বিআইডিব্লউটিএ’র দুটি ভেকু দিয়ে ভরাট করা মাটি কেটে খনন করে অপসারন করছে। যাতে ভবিষৎতে নদীর ওই জায়গায় দখল করে কেউ ব্যবসা করতে না পারে। এ জন্য ভরাটকৃত জায়গা গর্ত করে দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট শামীম বানু শান্তি জানান, নদীর বিশাল জায়গা দখল করে তা ভরাট করে ফেলা হয়েছিলো। নদীর দখলমুক্ত করার জন্য ওই মাটি কেটে অপসারন করা হচ্ছে। হাইকোটের নির্দেশনা অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।