নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নারায়ণগঞ্জের সোঁনারগায়ে ৩য় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর পিতা চিত্যরঞ্জন চিতু সিল সাংবাদিকদের জানান আমার স্থানীয় বাড়ী নাটোরে,বর্তমানে আমি সোনারগাঁও উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়ন অন্তর্গত ললাটি এলাকার বিল্লাল ভান্ডারির বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছি। আমার ছোট মেয়ে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ৩য় শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। আমি স্থানীয় বাজারে একটি সেলুনের দোকানে কাজ করি এবং আমার স্ত্রী একটি কোম্পানীতে চাকরী করে।
গত মঙ্গলবার আমরা দুজন বাড়িতে না থাকায় স্থানীয় হাসিব মিয়ার ছেলে সৈকত (১৪) ও মিজানের ছেলে ছাব্বির (১৩) দুজনে মিলে সন্ধা ৭ টার দিকে আমার অবুঝ শিশুকে ধর্ষণ করে।পরবর্তিতে আমি ও আমার স্ত্রী বাসায় আসার পর মেয়েটি আমাকে জরিয়ে ধরে কাদঁতে থাকে এবং ব্যাথায় কাতর হয়ে পরে,আমি কারণ জানতে চাইলে প্রথমে কিছু না বললেও পরবর্তিতে তার মায়ের কাছে আমার কাছে ও আমার বাড়ীর মালিক বিল্লাল ভান্ডরীর স্ত্রী সালমার কাছে ধর্ষণের কথা বলে।
এদিকে মেয়েটির অবস্থা খারাপ দেখে মেয়েকে বাচাঁতে আমি মদনপুর,চিটাগাংরোড ও ঢাকা মেডিকেলে ঘুরেও মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ করে পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি। কয়েকদিন অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারণে মেয়েটি এখনো সুস্থ্য হয়ে উঠেনি। বর্তমানে আমার অবুঝ শিশুটি হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে,আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় লোক হওয়ার আমার মেয়েকে বাচাঁতে কিংবা ধর্ষণের মতো পাপের কোন বিচার করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সোনারগাঁও থানা পুলিশ ললাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাড়ীর মালিক বিল্লাল ভান্ডারী (৪৮),তার ছেলে শাহ জালাল (১৮), শামীম (১৫),রুমান (১৪),রাকিব (১৬),সোহেল (৩২),অভিযুক্ত সৈকতের বড় বোন হামিদা (২০),তার স্বামী সোহেল কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে নিয়ে আসার ১২ ঘন্টা পর প্রধান আসামী হাসিব মিয়ার ছেলে সৈকত (১৪) ও মিজানের ছেলে ছাব্বির (১৩) কে তাদের পরিবারের লোকজন মিলে সোনারগাঁও থানায় পুলিশের হেফাজতে দিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোর্শদ আলম জানান,শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবং সন্দেহাতিত ভাবে ৯ জনকে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মেয়ের জবানবন্দী নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে,মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। অভিযুক্ত সৈকতের বোন হামিদাকে তার দুধের বাচ্চা রেখে কেনো ধর্ষনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের নামে প্রায় ১২ ঘন্টা কেনো থানায় আটকে রাখা হলো এমন পশ্নের জবাবে নবনির্মিত তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহসানউল্লাহ বলেন,প্রথমে তাদের আটকের পর প্রধান আসামী ও তার সহযোগীদের রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অভিযুক্ত ধর্ষণকারী সৈকত ও ছাব্বিরের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের এই কাজে সহযোগীতা ও হুকুম দেয়ার অপরাধে বিল্লাল ভান্ডারীর ছেলে শাহজালাল ও ঘটনা ধামচাপা দেয়ার অপরাধে বিল্লাল ভান্ডরীকে আটক রেখেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।