সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
আড়াইহাজার উপজেলায় পরকীয়ার জেরে সন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠেছে শেফালী নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় সৌদি প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে। সে ৩৫ নম্বর বাড়ৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত শেফালী বেগমকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ বলছে, তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্তানদের শরীরে আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি এম এ হক জানান, প্রায় ১১ বছর আগে বাড়ৈপাড়ার বিল্লালের ছেলে প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কেরানীগঞ্জের সুন্দর আলীর মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। পরে তাদের দুই ছেলের জন্ম হয়।
তিনি জানান, আনোয়ার বিদেশে থাকার সময় পার্শ্ববর্তী মোমেনের সঙ্গে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন শেফালী। এ নিয়ে আনোয়ার তিন মাস আসে শেফালীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু শেফালী বিষয়টি না মেনে শ্বশুর বাড়িতেই থাকছিলেন।
ওসি জানান, স্বামীর প্রতি প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই সন্তান হৃদয় ও শিহাবকে কাঁথায় জড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। এতে হৃদয়ের পুরো শরীর দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় সে। আরেক সন্তান অগ্নিদগ্ধ শিহাবকে (৭) উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। পরে মা শেফালীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা।
তিন জানান, হৃদয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শেফালীর প্রেমিক মোমেনকে খুঁজছে পুলিশ।