আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নৌকার সেতু তৈরি

নৌকার সেতু তৈরি

মাদারীপুরের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নৌকার সেতু তৈরিনৌকার সেতু তৈরি

শহিদুল ইসলাম লিখন
তিন বছর আগে পদ্মা সেতু ও একবছর আগে লাল সবুজের পার্কের মডেল তৈরি করে পেয়েছে মাদারীপুরবাসীর ভালবাসা ও উৎসাহ আর সেই ভালবাসাকে পুজি করে এবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্য ধরে রেখে এই ডিজিটাল যুগে নৌকা সেতু নাম দিয়ে- একটি সেতুর মডেল তৈরি করেছে মাদারীপুরের জাকির।

তবে এই উপহারটি জাকির শুধু মাত্র জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের কন্যা দেশনেত্রী, জননেত্রী, আওয়ামীলীগের নেত্রী, বর্তমানের সফল প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিতে চায়। এব্যপারে মাদারীপুর প্রশাসন সকল প্রকার সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

জীবনে অনেক কষ্ট করে ২৫ বছর পার করেছে। পরিবারের অভাব ও বাবা না থাকায় করতে পারেনি পড়াশুনা। তারপর নিজ মেধা বিকশিত করার জন্য ধার দেনা করে একাধিকবার অনেক কিছু নির্মান করেছে, মাদারীপুরবাসীর ভালবাসা ছাড়া পাইনি সরকারে কোন পৃষ্টপোষকতা। জাকিরের মেধা থাকলেও পরিপূর্ন ভাবে তা বিকশিত করতে পারছে না।

তিন বছর আগে জাকির তৈরি করেছিল বাংলাদেশের বৃহত্তম পদ্মা সেতুর নমুনা অনুযায়ী একটি অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ সেতু। এরপর ধার দেনা করে দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছে লাল সবুজ নামে একটি অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ পার্ক।

আর তার একবছরের মাথা ৬ মাস চেস্টা করে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার জন্য তৈরি করছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রেখে ডিজিটাল যুগের সাথে তালমিলে নৌকা সেতু নামে এক মডেল। আমােেদর দেশ নদী মাতৃক দেশ। তবে এই ডিজিটালের ছোয়া যেন আমাদের দেশের ঐতিহ্য হারিয়ে না যায় সেই জন্য এই নৌকা সেতুর মডেল তৈরি করা হয়েছে।

আর এই নৈাকা সেতুর পাশে যে গ্রাম বাংলার গ্রাম রয়েছে, সেখানে সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎতের বাতি জ্বলছে। রয়েছে সেতুটির পাশেই বিদেশীদের জন্য পর্যটক ভবন এবং সেতুটির উপর পাশে রয়েছে শব্দ দূষন, বায়ূ দূষন ছাড়া কলকারখানা । যা দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শক ভীড় করছে জাকিরের বাড়ীতে। বর্তমারে জাকির তালুকদার মাদারীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের খাকদী বাসস্টান্ডের পাশে বসবাস করছে। সে সোবাহান তালুকদারের ছেলে।

স্থানীয় ও নৌকা সেতুর মডেল দেখতে আসা রতন, আলিফ, ফরিদ, হোসাইন, আরিফ, সোহাগ, রশিদ, সাইফুল, সামচুল, শাকিলা, ভানু বেগমসহ একাধিক দর্শনার্থী বলেন, এই ছেলেটি অনেক মেধা রয়েছে। সে কয়েক বছর একবার একটি পদ্মা সেতু তৈরি করে দেখিয়েছিল। তারপর তৈরি করেছে একটি সুন্দর লাল সবুজের পার্ক।

এখন তৈরি করেছে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রেখে নৌকা সেতুর মডেল । আমরা এই প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেখতে অনেক দুর থেকে এসেছি। তবে প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার নিয়ে জাকিরকে একটি মেধা বিকাশ করার মতো স্থান করে দিতো তাহলে আমাদের সবার ভাল লাগতো। এখনতো আমাদের দেশে অনেক প্রযুক্তিবিদ রয়েছে। যারা অন্য অন্য দেশের মত অনেক সুনাম কুড়িয়েছে। সরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় কোন কিছু করতে দেয় তাহলে সে আরও ভালো কিছু করতে পারবে বলে আমরা মনে করি।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার নৌকা সেতুর মডেল উদ্ভাবক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি টাকার অভাবে পড়ালেখা করতে পারি নাই। তবে আমি এই দেশকে নতুন নতুন কিছু তৈরি করে দেখাতে চাই। আর এর জন্য প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা। আমি আমার এই স্বপ্ন পুরণে এর আগেও সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছি এখনো চাচ্ছি। আমাকে সুযোগ দিলে সরকারকে নতুন কিছু করে দেখাতে পারবো। আর আমি এই উপহারটি আমার দেশের,জনগনের আস্থারস্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই। আসা করি আমার উপহারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাদরে গ্রহন করবেন।

মাদারীপুর জেলা তথ্য অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের মাদারীপুরের জাকির যে নৌকা সেতুর মডেল তৈরি করেছে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার জন্য। আমি অনুরোধ করবো জেলা প্রশাসনকে তার এই উদ্ভাবনীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও ভালো কিছু করা সুযোগ যেন করে দেয়া হয়। আমি অনুরোধ করবো দেশের প্রকোশলীদের জাকিরের এই মেধাকে সঠিক কাজে লাগানোর জন্য সহযোগীতা করতে। আমি অনুরোধ করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জাকিরের এই উপহাটি গ্রহন করে তাকে আরো ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগতে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পারলাম জাকির নামে একটি ছেলে নৌকা সেতুর মডেল তৈরি করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য। তবে সে যদি লিখিতভাবে আমাদের বিষয়টি জানায় তাহলে প্রশসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়ার চেস্টা করবো।