আজ শনিবার, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বসন্তের আহবানে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গন মুখরিত

চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক

বসন্তের আহবানে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গন মুখরিত

চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক

 

ইমরান সোহেল, চট্টগ্রাম ব্যুরো:
‘ধিন তা না ধিন তা না তা না না না, আজ নাচেরে নাচে মন শোনে না মানা’, নজরুল স্কায়ার ডিসি হিলে একটি গানের সঙ্গে নাচছিলেন একদল শিল্পী। ছন্দে আর নূপুরের ধ্বনিতে সেই সুর দোলা খায় সেই ছায়া সুনিবিড় অঙ্গনটিকে ঘিরে থাকা রক্তপলাশ, শীর্ষে ফুটে থাকা ফুলে। পুষ্পের মধু আহরণে ব্যস্ত পাখিটিও যেন সেই সুরে সিক্ত। বাতাসেও সুরের ঢেউ। ঢেউয়ের দোলা উৎসব অঙ্গনে সমবেতদের মধ্যেও। বছর ঘুরে আসা বসন্তকে বরণে এমনই উন্মাতাল বাঙালি আর বাংলার প্রকৃতি। বসন্ত ফুলের পাপড়িতে, গাছের শাখায়, পাখির ঠোঁটে। বসন্ত আকাশের নীল মেঘে। বসন্ত বাঙালির মনে আর বাংলার প্রকৃতিতে। আজ মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকেই সিআরবি এলাকায় ও ডিসি হিলে শুরু হয় বসন্তপ্রিয় বাঙালির পদচারণা। চট্টগ্রামের প্রতিশ্রুতিশীল আবৃত্তি সংগঠন বোধন এবং প্রমার চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বসন্ত বরণের এই আয়োজন করেছে। সকালে নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তীর দলের নাচের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রমা’র বসন্ত বরণের আয়োজন। গান, আবৃত্তি, নাচ আর কথামালায় চলতে থাকে এই আয়োজন। ভায়োলিনিস্ট, চট্টগ্রাম নামে একটি সংগঠনের বেহালা বাদন মুগ্ধ করে সবাইকে।

প্রমা’র শিল্পী লিটন নন্দী যখন দরাজ কণ্ঠে গেয়ে উঠেন ‘গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু মুসলমান…’ তখন মঞ্চের সামনের দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে উৎসবের মুখরতা। বসন্ত বাতাসের নতুন ফুলের গন্ধ যেন ছড়িয়ে পড়ে সেখানে জড়ো হওয়া তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। হাতে হাতে ধরে নেচে, গেয়ে মেতে উঠেন সবাই। কোলাহলমুখর শিরিষতলায় তখন উৎসবের রঙ।

কথামালা পর্বে সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার বলেন, বসন্ত উৎসব বঙালির প্রাণের উৎসব। শহুরে সভ্যতার চর্চা করতে গিয়ে আমরা বাঙালির অনেক চিরায়ত উৎসব হারিয়েছি। এই উৎসব মনে করিয়ে দেয় আমরা বাঙালি। বোধনের আয়োজনে ছিল সেতারায় সত্যজিৎ চক্রবর্তী ও রোজী সেন, একক আবৃত্তি রণজিৎ রক্ষিত, সোহেল আনোয়ার, শিমুল নন্দী, সুছন্দা চৌধুরী, সুবর্ণা চৌধুরী। বৃন্দ আবৃত্তি বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম (শিশু বিভাগ), একক নৃত্য ওডিসী এন্ড ট্যাগর ড্যান্স মুভমেন্ট সেন্টার ঘুঙুর নৃত্যকলা একাডেমী স্কুল অফ ফোক ডান্স সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ। বিকেল ৩টায় ঢোলবাদলের মাধ্যমে ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের অংশগ্রহনের নজরুল স্কায়ার ডিসি হিলে শোভাযাত্রার আয়োজন করে বোধন।