আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইলেকট্রনিক পণ্য নারী ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে

এম এমোমেন :
ঢাকা আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলায় ইলেকট্রনিক স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়নে ইলেকট্রনিকস পণ্য নারী ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। ইলেকট্রনিক স্টল কিংবা প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লেগেই থাকে। এ ভিড়ই বলে দেয় ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদা কতটুকু। নতুন নতুন ইলেকট্রনিক পণ্য দিয়ে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো সাজানো হয়েছে। ক্রেতাদের নজরে আনতে সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। সুযোগ থাকছে ফ্রি হোম ডেলিভারি সার্ভিস। মেলায় অংশগ্রহন পণ্য বিক্রির চেয়ে বড় বড় কোম্পানীগুলো তাদের পণ্যের প্রচার-প্রচারণা করা-ই মূল লক্ষ্য।
মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা জানিয়েছে, তাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ইলেকট্রনিক পণ্য। মেলায় এলইডি টিভি, এসি, রেফ্রিজারেটর, ব্লেন্ডার, রাইসকুখার, লাইট, মাইক্রোওভেন, মোবাইল ফোনসেট, ল্যাপটপ, ওয়াশিং মেশিন, ড্রাই আয়রণ মেশিন, ফ্যান, ট্রাভেল লাগেজ, ইলেকট্রনিক চায়ের কেটলি, মোটরসাইকেল ও জুসারসহ পণ্যের কেনাবেচা চলছে দেদারসে।
এবারের মেলায় ওয়ালটন, ভিশন, কিয়াম, মিনিস্টির, গাজী গ্রুপ, ভিস্তা, যমুনা ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন কোম্পানি স্টল দিয়েছে। মূল্য ছাড়, ক্যাশব্যাক ও নানা উপহার দিয়ে ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। কেউ কেউ নতুন নতুন পণ্য প্রদর্শনীর জন্য মেলার স্টলে তুলেছেন।
গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার মেলায় স্বপরিবারে ঘুরতে এসে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকার জনকল্যাণ ফার্মেসীর মালিক মশিউর রহমান বলেন, ভালো ছাড় পেয়ে ফ্রিজ কিনেছেন। সে সঙ্গে তাকে হোম ডেলিভারির সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। মশিউর রহমান আরো বলেন, পারিবারিক প্রয়োজনেই আমি একটি ফ্রিজ কিনতাম। ছাড় পাওয়ায় মেলা থেকেই তা কিনেছি।
অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থী মানছুরা জান্নাত মনিমা মায়ের সঙ্গে মেলায় এসেছেন। তিনি একটি এলইডি টিভির অর্ডার দিয়েছেন। মেলা থেকে ডেলিভারি না নিয়ে তিনি নিজ এলাকার শো-রুম থেকে তা গ্রহন করবেন। মশিউর রহমান ও মনিমার মতো আরো অনেকেই মেলা থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য কিনেছেন। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা-দর্শনার্থী এখনও ঘুরে ঘুরে মেলা দেখছেন। মেলার শেষ ১৫ দিন কেনাবেচার ধুম চলবে বলে বিভিন্ন স্টলের কর্মীরা আশা করছেন।
ওয়ালটন কোম্পানির প্যাভিলিয়নের বিক্রয় প্রতিনিধি জাহিদ হাছান বলেন, মেলার স্টল থেকে বিক্রি করা সব পণ্য ফ্রি হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। তাতে ক্রেতারা খুশি। আমরাও লাভবান। মিনিস্টার ইলেকট্রনিকসের বিক্রয় প্রতিনিধি জাকিয়া আফরিন বলেন, এবারের মেলায় ইলেকট্রনিকসের দামি পণ্যের বিক্রি কম। অনেকই নিজ নিজ এলাকার শো-রুমের ঠিকানা নিয়ে যাচ্ছেন। সেখান থেকে তারা পছন্দের পণ্য ক্রয় করবেন। ইতিমধ্যে কেউ কেউ পণ্য ক্রয়ও করেছেন।
ভিশন ইলেকট্রনিকসের বিক্রয় প্রতিনিধ জয় মন্ডল বলেন, এবারের মেলায় লোভনীয় অফার দেওয় হয়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখছেন। আয়োজন ভালো। তাই গতবারের চেয়ে এবার বিক্রিও ভালা হচ্ছে। এবার অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে গৃহস্থালি পণ্যের চাহিদা বেশি। ভিস্তা ইলেকট্রনিকসের রমা কান্ত বিশ্বাস বলেন, তাদের কোম্পানির পণ্যে মেলা উপলক্ষ্যে সর্ব্বোচ্চ ছাড় দেওয়া হয়েছে। হোম ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। তারা অন্যদের মতো প্রতি বছরই বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহন করছেন।
গাজী গ্রুপের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাদের ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষাধীক টাকা মূল্যের পণ্য বাণিজ্য মেলার প্যাভিলিয়নে বিক্রি হচ্ছে। হোম ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। তাদের পণ্য বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। বিক্রির পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে বেশি।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান মাহমুদ রাসেল বাণিজ্য মেলার পরিদর্শনে আসেন। অন্যান্য স্টলের ন্যায় ইলেকট্রনিকস স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, মূল্য ছাড়ের সুযোগে ইলেকট্রনিকস প্যাভিলিয়ন দেখতে এসে হোম ডেলিভারি সার্ভিসসহ তিনি কিছু ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয় করেছেন।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব বিবেক সরকার বলেন, মেলার ইলেকট্রনিকস পণ্যের স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোর সাজসজ্জা ভালো। পণ্যের লোভনীয় অফার দেওয়ায় সেখানে ক্রেতারা ঝুকছেন বলে জানান তিনি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ