আজ শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেঘনার কড়াল গ্রাসে আড়াইহাজারের ৩ ইউনিয়নে ভাঙ্গন

 

আড়াইহাজার সংবাদদাতা:- বৃহত্তর মেঘনার কড়াল গ্রাসে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের শতাধীক গ্রাম নদী বক্ষে বিলিন হতে চলেছে। কোন প্রকারেই ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসি বার বার বসতি পরিবর্তণ করেও কোথাও গিয়ে স্থায়ী ভাবে ঠাঁই করে উঠতে পারছে না। আজ এখানে বসতি স্থাপন করেছে তো ৬ মাস পর এখানেই শুরু হয়েছে মেঘনার ভাঙ্গন।

উপজেলার বিশনন্দী, খাগকান্দা এ দুটি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম এবং কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সম্পুর্ণটাই অবস্থিত বৃহত্তর মেঘনা বক্ষে। এ সমস্ত গ্রাম গুলোর মানুষ যেন দুঃখ সঙ্গে করে নিয়েই পৃথিবীতে এসেছেন। তাই জন্মের পর থেকেই তাদেরকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে প্রমত্তা মেঘনার সাথে। আজ এ গাঁয়ে আছে তো কাল মেঘনা গিলে নিয়েছে সমস্ত গ্রাম। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে বসতি স্থাপন করতে হয় জেগে উঠা নতুন কোন চরে। তার পর আবারো ভাঙ্গন। এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা খেলে খেলে  মেঘনা পাড়ের জন সাধারণ এখন ক্লান্ত। তারা একটু স্থায়ী বসত ভিটা চায়, যেখানে থাকবেনা মেঘনার ভয়াবহতা। থাকবেনা ভাঙ্গা গড়ার খেলা।

মেঘনা বক্ষে অবস্থিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের দয়াকান্দা, কদমীর চর, পূর্বকান্দী, বদলপুর, মধ্যারচর, বিবিরকান্দী  সহ প্রায় ৩০টি গ্রাম, খাগকান্দা ইউনিয়নের খাগকান্দা , দক্ষিণ নয়াপাড়া, নয়াপাড়া, ডেঙ্গুরকান্দী, তাতুয়াকান্দা, ইসলামপুর, দয়াকান্দা, বিশনন্দী ইউনিয়নের বেশ কটি গ্রাম সহ প্রায় শতাধীক গ্রাম  ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এর মধ্যে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের অবস্থা খুবই নাজুক।

এলাকাবাসি জানায়, প্রথমত মেঘনার বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার বসিয়ে বালি ব্যবসায়িরা অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করার কারণে এমনিতেই গ্রাম গুলো ভাঙ্গন মুখী  ছিল। তার উপর বেশ কয়েকদিন যাবত প্রবল বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের আকার ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তারা এখন নতুন ঠিকানার সন্ধানে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছেন।

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ