আজ শুক্রবার, ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘৮শ’তে হাজার পাবি, লাগবি?’

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ: নগরীর খানপুর এলকায় একটি ছোট্ট সেলুন। একটু পর পরই সেলুনের মালিক মোবাইলের কল রিসিভ করছেন। আবার কখনও বলছেন, চিটাগং দুই হাজার, কখনও বলছেন কুমিল্লা তিন হাজার। বুঝতে বাকী রইল না, বিপিএলের ম্যাচ ঘিরে চলছে জুয়ার তুমুল আয়োজন।
এই ওভারে ৮৫ (রান) হইলে ডবল দিবেন জনি ভাই?’ হাতে টাকা নিয়ে জানতে চাইলেন ইসলাম মিয়া। যাঁর উদ্দেশ্যে প্রশ্নটি ছিল, সেই জনি উত্তর দিলেন ‘ট্যাকা কি কাগজ! আট শতে হাজার পাবি। লাগলে বল।’ চা- দোকানের ১৭ ইঞ্চি টেলিভিশনে চলছে বিপিএল খেলা। ব্যাটিং দলের রান তখন ৭০। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নগরীর মন্ডলপাড়া এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজ-সংলগ্ন চায়ের দোকানে এমন দৃশ্যই দেখা গেল। খোজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) খেলা চলার সময় প্রতিদিনই এখানে বসছে জুয়ার আসর।
প্রায় একই চিত্র নগরীর পাড়া-মহল্লার অলিগলি, বাজার থেকে শুরু করে জেলার শহরগুলোতে। চায়ের দোকান, রেস্তোঁরা, সেলুন, রিকশা গ্যারেজ ইত্যাদি কেন্দ্রিক ক্রিকেট জুয়ার আসর বসছে প্রতিদিন। এসব আসরে যোগ দেওয়া বেশির ভাগই শ্রমজীবী মানুষ। তাঁরা জুয়ার আসরে এসে প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছেন। দেশের প্রচলিত আইনে জুয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও বিপিএল জুয়াকে কেন্দ্র করে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাধারণ মানুষের নজর কাড়ে নি।
ম্যাচ শুরু হলেই প্রতি ওভারে, প্রতি বলে শুরু হয় জুয়া। স্থান, কাল এবং পাত্র ভেদে বল প্রতি ২ টাকার বাজিও ধরা হয়। আবার কোথাও এক লাখ টাকাও বাজি ধরা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জুয়াড়িরা সামনা সামনি না থেকে ব্যবহার করছেন মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসবের মাধ্যমেই তারা প্রতি ম্যাচ, বল, ওভার কিংবা ব্যাটসম্যানের রানের দর ঠিক করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গ্রুপ করে বল প্রতি জুয়া খেলা চলছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ