আজ মঙ্গলবার, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

২০ টাকা প্রলোভন দেখিয়ে শিশু তানজিলকে বলৎকার

নিজস্ব প্রতিবেদক;

সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু তানজিলকে হত্যা করে কেয়ারটেকার নাজমুল ইসলাম রাজু (৪২)। বলৎকারের ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে সে শ্বাসরোধ করে শিশু তানজিলকে হত্যা করে । 

পরে তার লাশ ষ্টোর রুমে কাথা দিয়ে পেচিয়ে মেঝেতে রেখে বড় ড্রামে দিয়ে ঢেকে রাখে। এরপর রাতের যে কোনো সময়ে পালিয়ে যায় রাজু। রোববার (২০জানুয়ারি) বিকেল এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান । 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নাজমুল ইসালাম রাজু এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। তার স্বীকারোক্তি মতে, ১৬ জানুয়ারি  মাদ্রক সেবন করে সন্ধ্যায় ৬ টায় সে ২০ টাকা  প্রলোভন দেখিয়ে তানজিলকে বলৎকারের উদ্দেশ্যে কৌশলে ডেকে ষ্টোর রুমে নিয়ে যায়। সেখানে বলৎকার করে আটকে রাখে। তানজিলের মা তাকে খোঁজাখোজি করে না পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে। 

এ সময় তানজিল মায়ের ডাকে সাড়া দিতে চাইলে নাজমুল ইসলাম রাজু প্রথমে তার মখু চেপে ধরে। একপর্যায়ে বলৎকারের ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে শ্বাসরোধ করে তানজিলকে হত্যা করে লাশ ষ্টোর রুমে কাথা দিয়ে পেচিয়ে মেঝেতে রেখে বড় ড্রামে দিয়ে ডেকে রাখে।  এরপর রাতের যে কোনো সময়ে পালিয়ে যায় রাজু।

উল্লেখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জের  রসুলবাগ এলাকায় আলম খানের বাড়ির ভাড়টিয়া আনোয়ার হোসনের ছেলে তাজিল (৭) গত ১৬ জানুয়ারী (বুধবার)  সন্ধ্যা ৬ টায় তার নিজ বাড়ি থেকে  নিখোঁজ হয়।

তানজিলকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে তার পিতা  ১৭ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। পুলিশ তানজিলের সন্ধানসহ তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ওই দিনই বিকাল ৩ টায় তানজিলের লাশ আলমখানের বাড়ির একটি পুরাতন স্টোর রুমের মধ্যে থেকে টিনের ড্রাম দিয়ে ঢাকা অবস্থায় উদ্ধার করে ।

পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে আলমখানের বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া ও আলমখানের কথিত ম্যানেজার মোঃ নাজমুল ইসলাম রাজুকে গ্রেফতার করে। ঘাতক রাজু  চুয়াডাঙ্গা জেলার  আলমডাঙ্গা থানার গোবিন্দুপুর মাঠপাড়া গ্রামের মোঃ জালাল উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।