আজ বৃহস্পতিবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হোটেল ছেড়ে মেসে উঠলেন আইজিপি

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান তদারকি করতে গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে যান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

সেখানে উন্নতমানের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হলেও একেবারেই সাধারণ একটি পুলিশ মেসে উঠেছেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। খেলেন স্থানীয়দের মতো সাধারণ খাবারই। পুলিশ বাহিনী প্রধানের এমন সাধারণ জীবন-যাপন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র। একে অনুকরণীয় বলছেন অনেকেই।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের তদারকি করতে পুলিশের আইজিপি বৃহস্পতিবার কক্সবাজার এসে পৌঁছান। কক্সবাজার সাগর পাড়ে রয়েছে কমপক্ষে আধা ডজন তারকা মানের হোটেল। রয়েছে অনেক উন্নতমানের সরকারি-বেসরকারি সার্কিট হাউস থেকে শুরু করে গেস্টহাউসও। আইজিপির জন্য তারকা মানের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা থাকলেও এসব সুযোগ-সুবিধা না নিয়ে সাধারণ একটি মেসে ওঠেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল আজম বলেন, পুলিশের একজন ছোট কর্মকর্তা হিসেবে আমি অবাক হচ্ছি, পুলিশ বাহিনীর প্রধান হয়েও আইজিপি স্যার সাগর পাড়ের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার তারকা হোটেলে থাকেননি। তিনি থেকেছেন পুলিশ মেসের মতো একটি সাধারণ মানের কক্ষে। যেখানের ভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা। বিষয়টি নিয়ে সবাই অবাক হয়েছেন।

পরিদর্শক কামরুল আজম আরও বলেন, আইজিপি স্যার যে পুলিশ মেসে উঠেছেন তার দেখভালের দায়িত্বে ছিলাম আমি। কক্সবাজার দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র হওয়ার সুবাদে এখানে সরকারি-বেসরকারি লোকজন আসেন প্রতিনিয়ত। অনেকের থাকে বিলাসী চাহিদা। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন সবার চেয়ে ভিন্ন। রাষ্ট্রের এত বড় একটি বাহিনীর প্রধান হয়েও সাধারণ মানুষের মতো মেসে থেকে শনিবার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান যোগ দেন। আইজিপি স্যারের বিষয়টি পুলিশ সদস্যদের অনুপ্রাণিত করবে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বলেন, আমাদের দেশে পুলিশ যেহেতু নানা কাজে জড়িত সেহেতু পুলিশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয়ে থাকে। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর প্রধান হিসেবে আইজিপি স্যারের এরকম সাধারণ মানের জীবন-যাপন দেশব্যাপী, বিশেষ করে গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। স্যারের জন্য আমরা গর্বিত।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, পুলিশ মেসের যে কক্ষে আইজিপি অবস্থান করেছেন সেটির ভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা। অথচ সাগর পাড়ের একটি তারকামানের হোটেলের প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ক্ষেত্র বিশেষে ১০-১৫ হাজার টাকা। এসব তারকা হোটেলে না থেকে পুলিশ মেসে উঠেছেন আইজিপি। বিষয়টি অবাক হওয়ার মতোই।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ