সংবাদচর্চা রিপোর্ট
শহরে ফের হকারদের উত্তাপ চলছে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে। ডিআইটি, গুলশান সিনেমা হল, ২ নং রেলগেট, মীরজুমলা সড়ক, কালীর বাজার, সাধু পৌলের গীর্জা, চাষাঢ়া সহ বঙ্গবন্ধু সড়কের প্রধান জায়গার উভয়পাশেই পসরা নিয়ে বসছে হকাররা। ২ নম্বর রেলগেটে ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে সড়কের অনেকটা অংশ বেদখল হয়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডিআইটি থেকে গুলশান সিনেমা হলের রাস্তার দুইপাশে বসেছে হকাররা। এখানে কোনো কোনো মার্কেট এর দোকানগুলোও মালামাল রেখে ফুটপাত দখল করেছে। ২নং রেলগেট ফুটপাতসহ মূল সড়কের পাশেও রয়েছে তাদের অবস্থান। গত ১৬ জুন ১নং রেলগেটসহ বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভিন্ন স্থানে আস্থায়ী দোকান তুলে দেয় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। কিন্তু ১ মাস না পেরোতেই সেখানে আবার বসে পরেছে হকাররা। সকাল থেকে রাত অব্দি হকারদের দখলে থাকে ফুটপাত। কিছু দিন আগেও উচ্ছেদ করা মীর জুমলা সড়ক দখল করেছে হকাররা। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ৩০ ফুট চওড়া মীরজুমলা সড়কটি গত ২৭ জুন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ উচ্ছেদ করে। পূর্ব-পশ্চিম মুখী সড়কটিতে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের দেয়াল ঘেষে বসে কাঁচাপাকা দোকান ও মাছের বাজার। ডান পাশে অনেক জায়গায় দেখা যায় সবজির দোকান। এখনো জমে থাকে দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা। বঙ্গবন্ধু সড়কের মর্ডান ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, সুগন্ধা প্লাস রেস্তোরা, প্রেসক্লাব গলি, উত্তরা ব্যাংকের সামনের ফুটপাতে বিভিন্ন জায়গায় বসছে হকাররা। প্রধান ডাকঘরের কোনা থেকে ১ নম্বর গেট রেলগেট পর্যন্ত পুরো ফুটপাত দখল করেছে হকাররা। কেউ কেউ রাস্তায়ও পসরা সাজিয়ে বসেছে।