নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বস্তির বৃষ্টি নগরবাসীর জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টানা কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছৈ জলাবদ্ধতা। টানা কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরম থেকে মঙ্গলবারের বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও যাতায়াতের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজনকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। দিনভর বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক কম ছিল। এ সুযোগে রিকশাচালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় বাড়তি ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
নগরের চাষাড়া থেকে বেলা সাড়ে ১১ টায়া রিকশায় করে ডিআইটি কারখানায় যান শরিফুল ইসলাম। পোশাক কারখানার এই কর্মকর্তা বলেন, বৃষ্টির কারণে রিকশা কম ছিল। চালকেরা ভাড়াও চাচ্ছিলেন বেশি। চাষাড়া থেকে ডিআইটির এলাকার দূরত্ব সোয়া কিলোমিটারের মতো। স্বাভাবিক অবস্থায় দরদাম করে ১৫ থেকে ২০ টাকায় যাওয়া যায়। কিন্তু আজ রিকশা ৩০ টাকা নিয়েছে।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিও তুলনামূলক কম ছিল। দুপুরে নগরের অনেক স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাকভেজা হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার দ্বিগুবাবুর বাজার ও কালির বাজারের ক্রেতাদের উপস্থিতি কম ছিল। চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৃষ্টির কারণে মানুষজন কম বের হয়েছে।