আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্কুলের টিনের ঘর বিল্ডিং করেছে গাজী

টি.আই.আরিফ
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে রূপগঞ্জে শিক্ষার আলো ছাড়াচ্ছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি। সরকার প্রধানের সহযোগিতায় টিনের ঘরকে তিনি বিল্ডিংয়ে রূপান্তর করেছেন। বাঁশের তৈরী দেওয়ালকে তিনি নিজের অর্থে ইটের তৈরী সীমানা প্রাচীর করেছেন। যে বিদ্যালয়ে টয়লেট ও নলকুপ ছিলো না সেখানে তিনি নলকুপ ও টয়লেটের ব্যবস্থা করেছেন। রূপগঞ্জের যেসব এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো না সে সব এলাকায় নতুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জের এমপি হওয়ার পর নতুন ৩১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ হয়েছে। তার মধ্যে ১০ টি রেজিস্টার,১৫ টি কমিউনিটি। গাজীর প্রচেষ্টায় রূপগঞ্জে সরকারীকরণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে কুশাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,কান্দাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ফুলকুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,গাবতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ডাক্তার খালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ডিবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুশুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আওখাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাবই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,রহিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলখান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বেলদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারিন্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভোলাব আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রূপসী কাজীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিল্কভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়—-। ২০১৩ সালে ও এর পর এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।

গতকাল পাবই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরীফ ভুইয়া সংবাদচর্চাকে বলেন, দীর্ঘদিন আমরা বেতন পাই নাই গাজী স্যার ২০১৩ সালে আমাদের বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করে দিয়েছে।তিনি রূপগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমরা কোনদিন কল্পনা করি নাই আমাদের স্কুল সরকারী হবে। তিনি রূপগঞ্জে ৩১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করে দিয়েছেন। আমরা গোলাম দস্তগীর গাজী স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি জমি দিয়ে অর্থ দিয়ে অনেক স্কুলে সহযোগিতা করেছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মঙ্গলখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল রহিম সংবাদচর্চাকে বলেন, আগে আমাদের স্কুলে টিনের ঘর ছিলো। ভাঙ্গা টিনদিয়ে পানি পড়েছে, ছেলে মেয়েরা পড়তে পারে নাই। গাজী স্যার টিনের ঘরকে বিল্ডিংয়ে রূপান্ত করেছে। নিজের টাকা দিয়ে স্কুলের দেওয়াল , শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ করেছেন মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী মহোদয়। তার নেতৃত্বে রূপগঞ্জে শিক্ষাখাতে বিপ্লব ঘটেছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ