আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে নৌ পথে ত্রিদেশীয় পাথর আমদানি ট্রেডের উদ্বোধন

নদীপথে ভূটান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে পাথর আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারত ভূটান ট্রেডের উদ্বোধন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নারায়াণগঞ্জের সোনাগাঁয়ের মেঘনা ঘাটে  ভারত ও ভূটানের হাইকমিশনার এ ট্রেড মার্কের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হাই কমশিনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, ভূটান থেক ভারত হয়ে বাংলাদেশে নদীপথে পাথর আমদানি তিনটি দেশের মধ্যে ট্রেডের নবসূচনা করলো। এটি একটি ঐতহিাসকি মুর্হূত। এই ঐতহিাসকি উদ্যোগ ভারত ভূটান বাংলাদদেশকে নিয়ে আমরা নতুন স্বপ্ন দেখতে পারি। আগামী দিনগুলোর বাণজ্যি এভাবেই হওয়া উচতি। এতে তিন দেশের মধ্যে সর্ম্পকের আরো উন্নতি ঘটবে এবং আমরা সেটাকে আরো নতুন ও উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাবো।

ভূটানের রাষ্ট্রদূত সোনম টি রাবগি বলেন, এই উদ্যোগরে মাধ্যমে আমাদের বাণজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এতে ভারত ভূটান ও বাংলাদেশ একদিকে উপকৃত হবে অন্যদিকে প্রতবেশী দেশগুলোর মধ্যাকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এতে পরিবহন ও অন্যান্য খরচও কমবে। নদীপথে পরিবহন একটি পরিবেশবান্ধব উপায়।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব উল ইসলাম বলনে, এটি আমাদের ত্রিদেশীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে। দেশগুলোর বানিজ্যিক সর্ম্পক বাড়াবে এবং আমাদের জাতিগত সংযোগ ও সর্ম্পক বাড়াতে সহায়তা করবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্বাধীনতার পর আবারো এই নদীপথের ট্রানজিট সুবিধা চালু হলো। নদীপথের মাধ্যমে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানো ও আমাদের মধ্যাকার সস্পর্কের উন্নতি সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, ড্রেজিং এবং নদীপথের অন্যান্য র্কাযক্রমে বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের ভালো অংশীদার। তারা খুবই আন্তরকি। নদীপথের যে কোন সমস্যা সমাধানে সব সময় বিআইডব্লিউটিএ প্রস্তুত আছে এবং এক সাথে কাজ করলে যে কোন সমস্যা সমাধান সম্ভব।

প্রসঙ্গত , প্রথমবারের মতো ভূটান থেকে পাথরবাহী একটি ভারতীয় জাহাজ ধুবরি থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।   আসামের ধুবরি থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে ভূটানের ফুয়েন্ট শোলিং থেকে ট্রাকে করে এনে সেখান থেকে নদীপথে জাহাজের মাধ্যমে এই পাথর আনা হয়েছে। জাহাজটি ১ হাজার মেট্রিকটন পাথর পরিবহন করছে, যা স্থলপথে পরিবহন করতে ৫০টিরও বেশি ট্রাক প্রয়োজন।