আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সম্মেলন বানচালের ষড়যন্ত্র!

স্টাফ রিপোর্টার :

দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন। তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, বহুল কাঙ্খিত এই সম্মেলন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন নিজেই এই অভিযোগ তুলেছেন।

গতকাল ফতুল্লা থানা বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের জেলা বিএনপির সম্মেলন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রশাসন, তাদের সন্ত্রাসী মাস্তানী বাহিনীকে ব্যবহার করে হুমকি দিচ্ছে যেনো সম্মেলন করতে না পারি।’

গিয়াস উদ্দিন এমন তথ্য জানানোর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে নানা আলোচনা চলছে। সম্মেলনকে ঘিরে যারা উৎসব উদ্দীপনায় ছিলেন, তাদের মাঝেও ভাটা দেখা যাচ্ছে। যথা সময়ে যথাস্থানে সম্মেলন হবে কিনা- তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। যদিও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বলছেন, যত বাধা বিপত্তি আসুক, নির্ধারিত স্থানেই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল আবাসিক এলাকায় বিএনপির সম্মেলনের অনুমোদন না দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত আবেদন করা হয়েছে। হীরাঝিল আবাসিক এলাকা সমাজ কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আবেদনটি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত রোববার (১১ জুন) রাতে হীরাঝিল আবাসিক এলাকা সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাবিবুল্লাহ হবুল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওই আবেদন করেন।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ১৭ জুন হীরাঝিল আবাসিক এলাকায় অবস্থিত গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এই আবাসিক এলাকাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এবং রাস্তাঘাট অপ্রশস্ত হওয়ায় সবসময় যানজট লেগে চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এই এলাকায় অসংখ্য মার্কেট দোকানপাট, আবাসিক-অনাবাসিক স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদরাসা অবস্থিত। এই এলাকায় সম্মেলন হলে এলাকাবাসী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই আবাসিক এলাকার মধ্যে এ জাতীয় একটি বড় রাজনৈতিক দলের সম্মেলন আয়োজনের অনুমতি না দিয়ে এলাকার বাহিরে অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

এই বিষয়টিকে সম্মেলন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সকল কিছু বিবেচনায় এনেই এই স্থান সম্মেলনের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে। এখানে সম্মেলন হলে মানুষের ভোগান্তি হওয়ার কোন কারণ নেই। এরপরও থানায় আবেদন করা হয়েছে যাতে সম্মেলন বাধাগ্রস্থ করা যায়। আমাদের জেলা বিএনপির সম্মেলন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রশাসন, তাদের সন্ত্রাসী মাস্তানী বাহিনীকে ব্যবহার করে হুমকি দিচ্ছে যেনো সম্মেলন করতে না পারি। কিন্তু আমি বলতে চাই, পূর্ননির্ধারিত স্থানেই সম্মেলন হবে ইনশাআল্লাহ।’

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ